রান্নায় তেজপাতা দেওয়া কতটা সুরক্ষিত?
বেশিরভাগ ভারতীয় রান্না হয় সুগন্ধে ভরপুর। কারণ এতে নানা স্বাদের মশলা দেওয়া হয়। তেজপাতাও সুগন্ধের জন্য ব্যবহার হয়। তাছাড়া এতে থাকে আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, এ, বি৬, রিবোফ্লাভিন, জিঙ্ক, ফাইবার, প্রোটিন ইত্যাদি। কিন্তু এত গুণ থাকলেও তেজপাতা সবার জন্য ভাল নয়। প্রতীকী ছবি ৷
ডায়বেটিস
তেজপাতার পুষ্টিগুণ শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ডায়েটে তেজপাতা যুক্ত করার ফলে তাঁদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কম ছিল।তার সঙ্গে এটাও দেখা গিয়েছে যে কোলেস্টেরলের মাত্রাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এর কারণ হল তেজপাতা প্রাকৃতিকভাবে পলিফেনল নামে পরিচিত সক্রিয় যৌগ দ্বারা পরিপূর্ণ, যা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যদি ইতিমধ্যেই সুগারের ওষুধ খাওয়া হয় তবে ডায়েটে তেজপাতা যোগ করলে সুগার ফল করতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷
[caption id="attachment_822545" align="alignnone" width="1200"] টনসিলের সমস্যা
যাঁদের টনসিলের সমস্যা আছে তাঁদের এই পাতা না খাওয়াই ভাল। কারণ এই পাতাগুলি সহজে চিবানো যায় না এবং এটি গলায় জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। যাঁদের টনসিলের সমস্যা আছে তাঁদের রান্নায় তেজপাতা দিলে সেটা পরিবেশনের আগে তুলে নিতে হবে। প্রতীকী ছবি ৷
হজমের সমস্যা
তরকারি এবং সবিজে তেজপাতা যোগ করলে তা পেটের ফোলাভাব কমাতে এবং খাবার হজমে সাহায্য করে। এটি ফাইবারের উপস্থিতির কারণে হয়। কিন্তু যদি কেউ ইতিমধ্যেই পেট খারাপের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এই তেজপাতা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে পেট খারাপ, পেট ব্যথা এবং পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷