Roundworm Infection: ইনটেস্টাইনে ডিম পারে রাউন্ডওয়ার্ম, সেখান থেকে ফুসফুস, ব্রেন,হতে পারে নিউমোনিয়াও! লবঙ্গ, গাজরের মতো ৭ সাধারণ খাবারেই জব্দ কৃমির দল

Last Updated:
ছোট, বড়, সবার শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে যে কৃমিগুলি, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল থ্রেডওয়ার্ম, রাউন্ডওয়ার্ম, হুইপওয়ার্ম, টেপওয়ার্ম এবং হুকওয়ার্ম। পিনওয়ার্ম ও থ্রেডওয়ার্মের মতো কিছু কৃমির ডিম এতটাই সূক্ষ্ম যে সেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না এবং বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
1/12
ছোট, বড়, সবার শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে যে কৃমিগুলি, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল থ্রেডওয়ার্ম, রাউন্ডওয়ার্ম, হুইপওয়ার্ম, টেপওয়ার্ম এবং হুকওয়ার্ম। পিনওয়ার্ম ও থ্রেডওয়ার্মের মতো কিছু কৃমির ডিম এতটাই সূক্ষ্ম যে সেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না এবং বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
ছোট, বড়, সবার শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে যে কৃমিগুলি, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল থ্রেডওয়ার্ম, রাউন্ডওয়ার্ম, হুইপওয়ার্ম, টেপওয়ার্ম এবং হুকওয়ার্ম। পিনওয়ার্ম ও থ্রেডওয়ার্মের মতো কিছু কৃমির ডিম এতটাই সূক্ষ্ম যে সেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না এবং বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
advertisement
2/12
২০১৫ সালে PLOS জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিকিৎসা পাওয়ার পরও শিশুদের শরীরে আবার কৃমি সংক্রমণ ফিরে আসে, কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে জমা অজস্র কৃমি থেকে সেগুলি ফের ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে European Journal of Tropical Medicine and International Health-এ প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা বলছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হুকওয়ার্ম সংক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ শুধু খুদেরা নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও কৃমি সংক্রমণের শিকার হতে পারেন।
২০১৫ সালে PLOS জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিকিৎসা পাওয়ার পরও শিশুদের শরীরে আবার কৃমি সংক্রমণ ফিরে আসে, কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে জমা অজস্র কৃমি থেকে সেগুলি ফের ছড়িয়ে পড়ে।২০১৩ সালে European Journal of Tropical Medicine and International Health-এ প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা বলছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হুকওয়ার্ম সংক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ শুধু খুদেরা নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও কৃমি সংক্রমণের শিকার হতে পারেন।
advertisement
3/12
এই কৃমিগুলি যকৃত ও ফুসফুসে সিস্ট বা গুটির সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি এই কৃমিগুলি ফুসফুসে পৌঁছে যায়, তাহলে নিউমোনিয়ার মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি এরা মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তাহলে গুরুতর স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়। কৃমির জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ ঘরোয়া কয়েকটি উপাদানেও তাড়ানো যায় কৃমি! --
এই কৃমিগুলি যকৃত ও ফুসফুসে সিস্ট বা গুটির সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি এই কৃমিগুলি ফুসফুসে পৌঁছে যায়, তাহলে নিউমোনিয়ার মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি এরা মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তাহলে গুরুতর স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়। কৃমির জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ ঘরোয়া কয়েকটি উপাদানেও তাড়ানো যায় কৃমি! --
advertisement
4/12
গাজর: একটি গাজর কুচি করে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। গাজরের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি এবং জিঙ্ক কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
গাজর: একটি গাজর কুচি করে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। গাজরের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি এবং জিঙ্ক কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
advertisement
5/12
এই কৃমিগুলি যকৃত ও ফুসফুসে সিস্ট বা গুটির সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি এই কৃমিগুলি ফুসফুসে পৌঁছে যায়, তাহলে নিউমোনিয়ার মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি এরা মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তাহলে গুরুতর স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়। কৃমির জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ ঘরোয়া কয়েকটি উপাদানেও তাড়ানো যায় কৃমি! --
এই কৃমিগুলি যকৃত ও ফুসফুসে সিস্ট বা গুটির সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি এই কৃমিগুলি ফুসফুসে পৌঁছে যায়, তাহলে নিউমোনিয়ার মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি এরা মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তাহলে গুরুতর স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়। কৃমির জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ ঘরোয়া কয়েকটি উপাদানেও তাড়ানো যায় কৃমি! --
advertisement
6/12
লবঙ্গ: প্রতি দিন ১-২টি লবঙ্গ খান। এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কৃমি নষ্ট করে।
লবঙ্গ: প্রতি দিন ১-২টি লবঙ্গ খান। এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কৃমি নষ্ট করে।
advertisement
7/12
অ্যাপল সিডার ভিনিগার: খাওয়ার আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায় যা শরীরে প্যারাসাইট ও জীবাণুর লার্ভা মারতে সাহায্য করে।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার: খাওয়ার আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায় যা শরীরে প্যারাসাইট ও জীবাণুর লার্ভা মারতে সাহায্য করে।
advertisement
8/12
হলুদ: এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। এ ছাড়া হাফ কাপ গরম জলে, সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে খান। পাঁচ দিন নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
হলুদ: এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। এ ছাড়া হাফ কাপ গরম জলে, সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে খান। পাঁচ দিন নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
advertisement
9/12
নারকেল: কৃমি দূর করতে নারকেল বেশ কার্যকরী। প্রতি দিন সকালে এক টেবল-চামচ নারকেল কুচি খান। ৩ ঘণ্টা পর এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে দুই টেবল-চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খান।
নারকেল: কৃমি দূর করতে নারকেল বেশ কার্যকরী। প্রতি দিন সকালে এক টেবল-চামচ নারকেল কুচি খান। ৩ ঘণ্টা পর এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে দুই টেবল-চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খান।
advertisement
10/12
আনারস: আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলিন এনজাইম যা প্যারাসাইট মারতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা তিন-চার দিন শুধু আনারস খেয়ে থাকলে কৃমি সম্পূর্ণ সারানো যায়।
আনারস: আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলিন এনজাইম যা প্যারাসাইট মারতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা তিন-চার দিন শুধু আনারস খেয়ে থাকলে কৃমি সম্পূর্ণ সারানো যায়।
advertisement
11/12
আমাদের শরীরে কৃমি কীভাবে ঢোকে? কৃমির ডিম বা লার্ভা দূষিত খাবার, জল, মাটি, অপরিষ্কার হাত কিংবা সংক্রমিত মল-মূত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কখনও কখনও খোলা পায়ে হাঁটলে বা অপরিষ্কৃত পরিবেশে বেশি সময় কাটালে, কৃমি ত্বকের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকতে পারে। এছাড়া খাওয়ার আগে হাত না ধোওয়া, দূষিত জল বা অপরিশোধিত দুধ পান করা, সবজি না ধুয়ে রান্না করা, অপরিষ্কার পাবলিক সুইমিং পুলে স্নান করা অথবা পোষ্য প্রাণী চাটলেও শরীরে কৃমি ঢুকতে পারে। এই কৃমিগুলি শরীরে প্রবেশ করে আমাদের অন্ত্রে ডিম পাড়ে।
আমাদের শরীরে কৃমি কীভাবে ঢোকে? কৃমির ডিম বা লার্ভা দূষিত খাবার, জল, মাটি, অপরিষ্কার হাত কিংবা সংক্রমিত মল-মূত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কখনও কখনও খোলা পায়ে হাঁটলে বা অপরিষ্কৃত পরিবেশে বেশি সময় কাটালে, কৃমি ত্বকের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকতে পারে। এছাড়া খাওয়ার আগে হাত না ধোওয়া, দূষিত জল বা অপরিশোধিত দুধ পান করা, সবজি না ধুয়ে রান্না করা, অপরিষ্কার পাবলিক সুইমিং পুলে স্নান করা অথবা পোষ্য প্রাণী চাটলেও শরীরে কৃমি ঢুকতে পারে। এই কৃমিগুলি শরীরে প্রবেশ করে আমাদের অন্ত্রে ডিম পাড়ে।
advertisement
12/12
কৃমি শরীরের কী কী ক্ষতি করে? কৃমি শরীরের পুষ্টি শোষণ করে নেয়, ফলে শরীরে রক্তাল্পতা, দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়া, হজমের সমস্যা, পেটব্যথা, বমি ভাব বা চুলকানির মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ডিওয়ার্মিং না করলে কৃমির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে মারাত্মক শারীরিক জটিলতাও তৈরি করতে পারে। কৃমির সংক্রমণ শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক—উভয়ের ক্ষেত্রেই পেটব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, পেট ফাঁপা এবং অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করত পারে। শিশুর অন্ত্রে কৃমি থাকলে তা তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং পড়াশোনার পারফরম্যান্সেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
কৃমি শরীরের কী কী ক্ষতি করে? কৃমি শরীরের পুষ্টি শোষণ করে নেয়, ফলে শরীরে রক্তাল্পতা, দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়া, হজমের সমস্যা, পেটব্যথা, বমি ভাব বা চুলকানির মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ডিওয়ার্মিং না করলে কৃমির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে মারাত্মক শারীরিক জটিলতাও তৈরি করতে পারে। কৃমির সংক্রমণ শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক—উভয়ের ক্ষেত্রেই পেটব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, পেট ফাঁপা এবং অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করত পারে। শিশুর অন্ত্রে কৃমি থাকলে তা তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং পড়াশোনার পারফরম্যান্সেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
advertisement
advertisement
advertisement