Rarest Blood Group: বিশ্বের সবচেয়ে বিরল রক্তের গ্রুপ কোনটি জানেন? প্রতি ১০,০০০ ভারতীয়-এর মধ্যে একজনের শরীরে মেলে এই সোনার খনি...

Last Updated:
Rarest Blood Group: এই ব্লাড গ্রুপ একটি বিরল রক্তের ধরন, যা প্রতি ১০,০০০ জন ভারতীয়ের মধ্যে মাত্র ১ জনে দেখা যায়। এই রক্তের গ্রুপের দাতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই এই বিষয়ে সচেতনতা জরুরি...
1/8
রক্তদান একটি মহৎ কাজ। কিন্তু রক্তদানের আগে রক্তের গ্রুপ জানা জরুরি। সাধারণত আমরা এ, বি, এবি ও ও পজিটিভ ও নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে জানি। তবে একটি এমনও রক্তের ধরন আছে, যা অত্যন্ত বিরল। এই গ্রুপের নাম বম্বে ব্লাড গ্রুপ। এটি এতটাই বিরল যে প্রতি ১০,০০০ ভারতীয়ের মধ্যে মাত্র ১ জনের শরীরে এই গ্রুপ পাওয়া যায়।
রক্তদান একটি মহৎ কাজ। কিন্তু রক্তদানের আগে রক্তের গ্রুপ জানা জরুরি। সাধারণত আমরা এ, বি, এবি ও ও পজিটিভ ও নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে জানি। তবে একটি এমনও রক্তের ধরন আছে, যা অত্যন্ত বিরল। এই গ্রুপের নাম বম্বে ব্লাড গ্রুপ। এটি এতটাই বিরল যে প্রতি ১০,০০০ ভারতীয়ের মধ্যে মাত্র ১ জনের শরীরে এই গ্রুপ পাওয়া যায়।
advertisement
2/8
সম্প্রতি, এক ৩০ বছর বয়সী ভারতীয় মহিলার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সফল হয়েছে। তবে সমস্যার বিষয় ছিল তাঁর রক্তের ধরন। তাঁর রক্তের ধরন ছিল ‘hh’, যা বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালে মুম্বইতে প্রথম এই গ্রুপ আবিষ্কৃত হয় এবং তাই এর নাম দেওয়া হয় “বম্বে ব্লাড গ্রুপ”।
সম্প্রতি, এক ৩০ বছর বয়সী ভারতীয় মহিলার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সফল হয়েছে। তবে সমস্যার বিষয় ছিল তাঁর রক্তের ধরন। তাঁর রক্তের ধরন ছিল ‘hh’, যা বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালে মুম্বইতে প্রথম এই গ্রুপ আবিষ্কৃত হয় এবং তাই এর নাম দেওয়া হয় “বম্বে ব্লাড গ্রুপ”।
advertisement
3/8
বম্বে ব্লাড গ্রুপের (HH) ক্ষেত্রে শরীরে H অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত থাকে। এইচ অ্যান্টিজেন না থাকলে A ও B অ্যান্টিজেন তৈরি হতে পারে না, ফলে এই গ্রুপ কোনও সাধারণ রক্তের গ্রুপ যেমন O-, A, B বা AB থেকে রক্ত নিতে পারে না। একমাত্র HH গ্রুপের ব্যক্তির কাছ থেকেই তারা রক্ত নিতে সক্ষম।
বম্বে ব্লাড গ্রুপের (HH) ক্ষেত্রে শরীরে H অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত থাকে। এইচ অ্যান্টিজেন না থাকলে A ও B অ্যান্টিজেন তৈরি হতে পারে না, ফলে এই গ্রুপ কোনও সাধারণ রক্তের গ্রুপ যেমন O-, A, B বা AB থেকে রক্ত নিতে পারে না। একমাত্র HH গ্রুপের ব্যক্তির কাছ থেকেই তারা রক্ত নিতে সক্ষম।
advertisement
4/8
এই গ্রুপ এতটাই বিরল যে মানব জনসংখ্যার মাত্র ০.০০০৪ শতাংশ (প্রায় ৪০ লক্ষে ১ জন) এই গ্রুপের অধিকারী। ইউরোপে এই সংখ্যা দশ লক্ষে ১ জন এবং মুম্বইতে ১০ হাজারে ১ জন। এত অল্প সংখ্যক হওয়ায় রক্তদাতা পাওয়া সত্যিই কঠিন।
এই গ্রুপ এতটাই বিরল যে মানব জনসংখ্যার মাত্র ০.০০০৪ শতাংশ (প্রায় ৪০ লক্ষে ১ জন) এই গ্রুপের অধিকারী। ইউরোপে এই সংখ্যা দশ লক্ষে ১ জন এবং মুম্বইতে ১০ হাজারে ১ জন। এত অল্প সংখ্যক হওয়ায় রক্তদাতা পাওয়া সত্যিই কঠিন।
advertisement
5/8
বম্বে ব্লাড গ্রুপ রক্ত পরীক্ষার সময় সাধারণত O গ্রুপ মনে হয় কারণ এতে A বা B অ্যান্টিজেন থাকে না। তবে যখন ক্রস-ম্যাচিং করা হয়, তখন বোঝা যায় এটি কোনো সাধারণ গ্রুপ নয়।
বম্বে ব্লাড গ্রুপ রক্ত পরীক্ষার সময় সাধারণত O গ্রুপ মনে হয় কারণ এতে A বা B অ্যান্টিজেন থাকে না। তবে যখন ক্রস-ম্যাচিং করা হয়, তখন বোঝা যায় এটি কোনো সাধারণ গ্রুপ নয়।
advertisement
6/8
বিশ্বে আরও একটি বিরল ব্লাড গ্রুপ রয়েছে – Rh Null বা গোল্ডেন ব্লাড গ্রুপ। পৃথিবীর ৮০০ কোটিরও বেশি মানুষের মধ্যে মাত্র ৪৫ জনের রক্তে এই গ্রুপ পাওয়া গেছে। এই গ্রুপে Rh ফ্যাক্টর একেবারেই থাকে না।
বিশ্বে আরও একটি বিরল ব্লাড গ্রুপ রয়েছে – Rh Null বা গোল্ডেন ব্লাড গ্রুপ। পৃথিবীর ৮০০ কোটিরও বেশি মানুষের মধ্যে মাত্র ৪৫ জনের রক্তে এই গ্রুপ পাওয়া গেছে। এই গ্রুপে Rh ফ্যাক্টর একেবারেই থাকে না।
advertisement
7/8
Rh Null ব্লাড গ্রুপের মানুষের শরীরে Rh ফ্যাক্টর থাকে না, যা সাধারণত RBC-র পৃষ্ঠে একটি প্রোটিন হিসেবে থাকে। এই গ্রুপের রক্ত কারো সঙ্গেই ম্যাচিংয়ে সমস্যা হয় না, তাই একে ‘গোল্ডেন ব্লাড’ বলা হয়। কিন্তু এই গ্রুপের মানুষদের ব্লাড পাওয়া ও সংরক্ষণ করা খুবই কঠিন।
Rh Null ব্লাড গ্রুপের মানুষের শরীরে Rh ফ্যাক্টর থাকে না, যা সাধারণত RBC-র পৃষ্ঠে একটি প্রোটিন হিসেবে থাকে। এই গ্রুপের রক্ত কারো সঙ্গেই ম্যাচিংয়ে সমস্যা হয় না, তাই একে ‘গোল্ডেন ব্লাড’ বলা হয়। কিন্তু এই গ্রুপের মানুষদের ব্লাড পাওয়া ও সংরক্ষণ করা খুবই কঠিন।
advertisement
8/8
গোল্ডেন ব্লাড গ্রুপের অধিকারীরা প্রায়ই অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন এবং তাঁদের আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই রক্ত সাধারণত অন্যকে না দিয়ে, ভবিষ্যতে সেই ব্যক্তিকেই ফেরত দেওয়ার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়, কারণ এই রক্ত আন্তর্জাতিক স্তরে ট্রান্সপোর্ট করাও খুব কঠিন।
গোল্ডেন ব্লাড গ্রুপের অধিকারীরা প্রায়ই অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন এবং তাঁদের আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই রক্ত সাধারণত অন্যকে না দিয়ে, ভবিষ্যতে সেই ব্যক্তিকেই ফেরত দেওয়ার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়, কারণ এই রক্ত আন্তর্জাতিক স্তরে ট্রান্সপোর্ট করাও খুব কঠিন।
advertisement
advertisement
advertisement