Poila Baishakh Saree: ভাঁজেই কামাল, পয়লা বৈশাখের শাড়িতে লাগুক নতুনত্বের ছোঁয়া!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Poila Baishakh 2022: বাঙালির নিজস্ব পয়লা বৈশাখে শাড়ি পরার প্রচলন থাক আগের মতোই। সঙ্গী হোক নতুনত্ব।
advertisement
advertisement
advertisement
সামনে আঁচল চিরাচরিত অবাঙালি প্রথায় শাড়ি পরার প্রতি ঝোঁক বাঙালির। বলা হয় পার্সি মহিলাদের এই ধরনের শাড়ি পরার প্রথাটিকেই খানিক এ দিক ও দিক করে, আঁচল পিছনে ফিরিয়ে দিয়ে নতুন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন ঠাকুর বাড়ির মেজ বৌ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তবে বাঙালি ফ্যাশনিস্তারা সে স্টাইল ফিরিয়ে আনছেন আবার। আঁচল থাকছে সামনে। তবে একেবারে কুচিতে অঙ্গ ঢেকে নয়। বরং খানিকটা বড় ব্লাউজের সঙ্গে পরিপাটি করে ভাঁজ করা আঁচল ফেলা থাকছে ডান কাঁধের উপর। দেখতে স্মার্ট, চলা ফেরাতেও সহজ।
advertisement
কোমর বন্ধনী এ প্রথাও কিন্তু নতুন বলা যায় না। আগেকার দিনে বাঙালি রমণীর কোমর জুড়ে থাকত চন্দ্রহার। সোনার অথবা রুপোর। সে প্রথা ক্রমশ বিলুপ্ত হলেও ফিরছে নতুন করে। তবে কোনও ধাতুরই হতে হবে তার কোনও মানে নেই। বরং যে বেল্টটা প্রতিদিন জিনসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, সেটিকেই বেছে নিতে পারি আমরা বিশেষ দিনের শাড়ির সঙ্গে। আঁচল সামনে থাক বা পিছনে, ডান কাঁধে বা বাঁ কাঁধে, কোমরে বেঁধে নেওয়া যাক বেল্ট। তবে বেল্টের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে পরতে হবে ব্লাউজ এবং জুতো ও অন্য গয়নাগাটি। যেমন সাধারণ চামড়ার বেল্ট হলে পায়ে একখানা স্নিকার মানিয়ে যায় অনায়াসে। আবার জুতো, ব্লাউজে তেমন তেমন কারুকাজ থাকলে বেছে নিতে হবে, মানানসই ঝলমলে কোনও বেল্টই।
advertisement
ডেনিম জ্যাকেট ঘরে বাইরের সেই দৃশ্য মনে আছে, যেখানে বিমলা একের পর এক ব্লাউজ নিজের গায়ে দিয়ে দেখে নিচ্ছে? সে সব ব্লাউজকে তো জ্যাকেটই বলা হত। তবে এখন আমরা একখান বেগমপুরি বা ধনেখালির সঙ্গে অনায়াসে বেছে নিতে পারি হালকা ডেনিম জ্যাকেট। আজকাল সুতির জ্যাকেটও পাওযা যায় নানা রকম। এমনকী হালকা জওহর কোটও চড়িয়ে নেওয়া যায়। মারত্মক গরম না হলে আঁচলটি আমরা জড়িয়ে রাখতে পারি গলায়।
advertisement
শার্টের সঙ্গে চিরাচরিত ব্লাউজের বদলে শাড়ির সঙ্গে টিম আপ করে নেওয়া যায় শার্টও। এতে খুবই সুবিধা হবে। যেমন ধরা যাক, সকালে অফিসে যেতে হবে। বিকেলে নিমন্ত্রণ আছে। অফিসে শার্ট পরে যাওয়া যাক। বেরোনোর সময় ওই শার্টের সঙ্গেই পরে নিতে হবে ম্যাচিং শাড়িটি। কী শাড়ি পরা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে আমরা ডেনিম শার্ট পরবো না সাদা সুতির শার্ট, না কি বেছে নেব সাটিন। সঙ্গে কলারের নিচ দিয়ে ঝুলিয়ে নিতে হবে দারুন গর্জাস কোনও নেকপিস।
advertisement
গাউন ড্রেপ এ ধরনের শাড়ি পরার চল অবশ্য বাঙালির মধ্যে এখন নেই। কারসাজি মূলত আঁচলের। যেমন রোজের শাড়ি পরা হয়, তেমন করে পরে আঁচলটা একটু লম্বা রাখতে হবে। তারপর তাকে গলা দিয়ে ঘুরিয়ে সামনে এনে ফেলতে হবে ডান কাঁধের উপর থেকে। বুকের উপর দিয়ে এর আগে গিয়েছে শাড়ির যে অংশটা, তার ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলতে হবে। এখানেও কিন্তু কোমরে একটা বেল্ট লাগবে। এ বার প্লিট গুলো ঠিক করে নিতে হবে। ঠিক মনে হবে যেন কোনও ভি-গলা গাউন পরা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু নরম শাড়ি বাছাই ভাল।
advertisement
কিমোনো স্টাইল একই ভাবে পরিচিত শাড়িতে আমরা নিয়ে আসতে পারেন কিমোনো স্টাইল। আমাদের মায়েরা যেমন করে গায়ে আঁচল জড়িয়ে নিতেন, তেমন করেই নিতে হবে। শুধু দেখে নিতে হবে প্লিটগুলো যেন ঠিক থাকে। প্রয়োজনে আঁচলের একেবারে নিচে সেফটি পিন লাগিয়ে নেওয়া যায়। এ বার দুই কাঁধেই একটু দূরত্ব রেখে শাড়ির আঁচলের প্রথম পরতটি পিন করে নিতে হবে। আর কোমরে বেঁধে নিতে হবে মানানসই বেল্ট।