Parenting Tips: শিশুর হাতে স্মার্টফোন! কী মারাত্মক ক্ষতি যে হচ্ছে ভাবতে পারছেন না, বাচ্চাকে কীভাবে দূরে রাখবেন?

Last Updated:
Parenting Tips: আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি জানি যে মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ইউজ করা ছোট বাচ্চাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। কী করে রক্ষা পাবেন?
1/6
বাচ্চাদের স্মার্টফোনে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি এখনকার দিনে বাবা মায়েদের দুশ্চিন্তার কারণ। বায়না পূরণ করতে বা বাবা-মা কর্মব্যস্ততার জন্য বা বাচ্চাকে সাময়িকভাবে শান্ত রাখতে আমরা এর কুফল চিন্তা না করেই ডিভাইস তুলে দিচ্ছি তাদের হাতে। খেলনা, রঙ তুলির বদলে ছোট্ট শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেখতেও তো বেমানান লাগে। এই আসক্তি দূর করতে বাবা মায়ের করণীয় কী? জেনে নিন
বাচ্চা বাচ্চাদের স্মার্টফোনে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি এখনকার দিনে বাবা মায়েদের দুশ্চিন্তার কারণ। বায়না পূরণ করতে বা বাবা-মা কর্মব্যস্ততার জন্য বা বাচ্চাকে সাময়িকভাবে শান্ত রাখতে আমরা এর কুফল চিন্তা না করেই ডিভাইস তুলে দিচ্ছি তাদের হাতে। খেলনা, রঙ তুলির বদলে ছোট্ট শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেখতেও তো বেমানান লাগে। এই আসক্তি দূর করতে বাবা মায়ের করণীয় কী? জেনে নিন
advertisement
2/6
কিছুটা সময় বাচ্চারা কার্টুন দেখতে পারে, তবে সেটা বয়স উপযোগী হতে হবে। কিন্তু একদম ছোট্ট শিশুকে কেন স্মার্টফোন দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে হবে? খাওয়ানোর সময় মোবাইলে কার্টুন ছেড়ে দিলে বাচ্চা তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলে, কিছুটা সময় শান্ত হয়ে বসে থাকে- এই ধরনের কথা অনেক বাবা মায়ের কাছে শুনেছি। বাবা-মা কর্মব্যস্ততার, সন্তানকে ঠিকমতো সময় না দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের অবহেলা, একাকীত্ব, খেলাধুলার পরিবেশ না থাকা এসব কারণে বাচ্চাদের স্মার্টফোনে আসক্তি বেড়ে যাচ্ছে।
কিছুটা সময় বাচ্চারা কার্টুন দেখতে পারে, তবে সেটা বয়স উপযোগী হতে হবে। কিন্তু একদম ছোট্ট শিশুকে কেন স্মার্টফোন দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে হবে? খাওয়ানোর সময় মোবাইলে কার্টুন ছেড়ে দিলে বাচ্চা তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলে, কিছুটা সময় শান্ত হয়ে বসে থাকে- এই ধরনের কথা অনেক বাবা মায়ের কাছে শুনেছি। বাবা-মা কর্মব্যস্ততার, সন্তানকে ঠিকমতো সময় না দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের অবহেলা, একাকীত্ব, খেলাধুলার পরিবেশ না থাকা এসব কারণে বাচ্চাদের স্মার্টফোনে আসক্তি বেড়ে যাচ্ছে।
advertisement
3/6
আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি জানি যে মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ইউজ করা ছোট বাচ্চাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। তারপরও এখনো যারা এই বিষয়ে সচেতন না, তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি প্রযুক্তির অপব্যবহারে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কতটা ঝুঁকির মুখে আছে।ইলেকট্রনিক গেজেটের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় শিশুর চিন্তাশক্তির বিকাশ বাঁধা পায় এবং সে ক্রিয়েটিভ কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে গেইমস বাচ্চার চোখের ক্ষতি করে।
আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি জানি যে মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ইউজ করা ছোট বাচ্চাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। তারপরও এখনো যারা এই বিষয়ে সচেতন না, তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি প্রযুক্তির অপব্যবহারে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কতটা ঝুঁকির মুখে আছে।ইলেকট্রনিক গেজেটের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় শিশুর চিন্তাশক্তির বিকাশ বাঁধা পায় এবং সে ক্রিয়েটিভ কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে গেইমস বাচ্চার চোখের ক্ষতি করে।
advertisement
4/6
প্রযুক্তির এই যুগে কার্টুন দেখা, মোবাইলে গেইমস এগুলো থেকে তো বাচ্চাকে দূরে রাখা সম্ভব না। সীমিত পরিসরে স্ক্রিন টাইম দিতে হবে। এই সময়ে শিক্ষামূলক বা সচেতনতামূলক কিছু দেখলে বাচ্চার জন্য সেটা ভালোই হবে, নতুন কিছু শিখতে পারবে। আর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট গেইমস, নামতা শেখা, ওয়ার্ড ম্যাচিং, রাইমস দেখা এগুলোর জন্য কিছুটা সময় দেয়া যেতে পারে, তবে আসক্তির পর্যায়ে যাতে না যায় সেটা খেয়াল রাখবেন। সময় বেঁধে দিন, যদি পারেন তো সেই সময়টুকু আপনি সাথে থাকুন।
প্রযুক্তির এই যুগে কার্টুন দেখা, মোবাইলে গেইমস এগুলো থেকে তো বাচ্চাকে দূরে রাখা সম্ভব না। সীমিত পরিসরে স্ক্রিন টাইম দিতে হবে। এই সময়ে শিক্ষামূলক বা সচেতনতামূলক কিছু দেখলে বাচ্চার জন্য সেটা ভালোই হবে, নতুন কিছু শিখতে পারবে। আর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট গেইমস, নামতা শেখা, ওয়ার্ড ম্যাচিং, রাইমস দেখা এগুলোর জন্য কিছুটা সময় দেয়া যেতে পারে, তবে আসক্তির পর্যায়ে যাতে না যায় সেটা খেয়াল রাখবেন। সময় বেঁধে দিন, যদি পারেন তো সেই সময়টুকু আপনি সাথে থাকুন।
advertisement
5/6
লেখালেখি, ক্রাফটিং বা কারুশিল্প, ইনডোর গেমস এসব দিয়ে শিশুকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। নতুন নতুন খেলায় বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়ে। বিভিন্ন অক্ষর দিয়ে শব্দ এবং শব্দ দিয়ে বাক্য বানাতে বলুন। রঙিন কাগজ দিয়ে নৌকা, প্লেন, ফুল বানিয়ে দেখান এবং তাকেও এভাবে বানাতে বলুন। কাগজ, রঙ পেন্সিল দিয়ে কার্ড বানাতে শেখান। খেলার ছলেই শেখা হয়ে যাবে। আর বাচ্চা লিখতে পারলে তাকে টপিক দিয়ে দিন, গল্প বা ছড়া লিখতে বলুন। এতে বাচ্চার মোবাইল গেইমসের নেশা অনেকটা কমে যাবে
লেখালেখি, ক্রাফটিং বা কারুশিল্প, ইনডোর গেমস এসব দিয়ে শিশুকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। নতুন নতুন খেলায় বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়ে। বিভিন্ন অক্ষর দিয়ে শব্দ এবং শব্দ দিয়ে বাক্য বানাতে বলুন। রঙিন কাগজ দিয়ে নৌকা, প্লেন, ফুল বানিয়ে দেখান এবং তাকেও এভাবে বানাতে বলুন। কাগজ, রঙ পেন্সিল দিয়ে কার্ড বানাতে শেখান। খেলার ছলেই শেখা হয়ে যাবে। আর বাচ্চা লিখতে পারলে তাকে টপিক দিয়ে দিন, গল্প বা ছড়া লিখতে বলুন। এতে বাচ্চার মোবাইল গেইমসের নেশা অনেকটা কমে যাবে
advertisement
6/6
বাচ্চাকে সময় দিন, ওর শৈশবটাকে আরও আনন্দময় করে তুলুন।এছাড়াও ছুটির দিনে মাঝে মধ্যে বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, তাকে ঘরের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করতে বলা, গল্প শোনানো, গান শেখানো, ছাদে নিয়ে ঘুড়ি উড়ানো এগুলোও করতে পারেন। শিশুর হাতে স্মার্টফোন না দিয়ে কালারবুক, রঙ, খেলনা, ছড়ার বই দিন।তাহলে জেনে নিলেন তো কীভাবে বাচ্চাদের মোবাইলের প্রতি ঝোঁক দূর করা যায়। প্রযুক্তির আসক্তি থেকে নিজে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পদক্ষেপ নিন।
বাচ্চাকে সময় দিন, ওর শৈশবটাকে আরও আনন্দময় করে তুলুন।এছাড়াও ছুটির দিনে মাঝে মধ্যে বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, তাকে ঘরের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করতে বলা, গল্প শোনানো, গান শেখানো, ছাদে নিয়ে ঘুড়ি উড়ানো এগুলোও করতে পারেন। শিশুর হাতে স্মার্টফোন না দিয়ে কালারবুক, রঙ, খেলনা, ছড়ার বই দিন।তাহলে জেনে নিলেন তো কীভাবে বাচ্চাদের মোবাইলের প্রতি ঝোঁক দূর করা যায়। প্রযুক্তির আসক্তি থেকে নিজে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পদক্ষেপ নিন।
advertisement
advertisement
advertisement