Breast Cancer: গোটা বিশ্বে ২০ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা আক্রান্ত স্তন ক্যানসারে, ভারতে আক্রান্ত সংখ্যা কত? কী বলছে হু-এর নয়া রিপোর্ট?

Last Updated:
আজ, ৯ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী সুরক্ষা এবং নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলার মাঝেই সামনে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর এক সমীক্ষা রিপোর্ট। আর সেই সমীক্ষা রিপোর্ট যথেষ্ট ভয় ধরানোর মতো।
1/8
গবেষণাটি নিষ্ক্রিয় কোষ বা ডর্মেন্ট ক্যানসার কোষগুলির অস্তিত্ব উদঘাটন করেছে, যা দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে এবং পরে স্তন ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। এই আবিষ্কারটি এই কোষগুলির লুকানো বিপদকে তুলে ধরে এবং এগুলি পুনরায় সক্রিয় হওয়া প্রতিরোধে আরও কার্যকরী চিকিৎসার বিকাশের পথ খুলে দেয়। এই ঘটনা মোকাবিলা করে, চিকিৎসকরা পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমাতে এবং রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল উন্নত করার আশা করছেন।
আজ, ৯ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী সুরক্ষা এবং নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলার মাঝেই সামনে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর এক সমীক্ষা রিপোর্ট। আর সেই সমীক্ষা রিপোর্ট যথেষ্ট ভয় ধরানোর মতো। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
2/8
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাসরাত খানের মতে, যেসব নারীর জরায়ু নেই তাদের ইস্ট্রোজেন থেরাপি এবং যাদের জরায়ু আছে তাদের ইস্ট্রোজেন প্রোজেস্টেরন থেরাপি দেওয়া হয়। এই থেরাপিতে কৃত্রিমভাবে হরমোন দেওয়া হলেও অনেক সময় এই থেরাপি স্তন ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মায়ো ক্লিনিকে প্রকাশিত সেন্টার ফর উইমেন হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫০ বছর পর এই থেরাপি নেওয়া উচিত নয়। একই সময়ে, একজন মহিলা যদি 5 বছর ধরে একটানা হরমোন থেরাপি গ্রহণ করেন তবে তার স্তন ক্যান্সার হতে পারে।
হু- ওই সমীক্ষা রিপোর্টে জানা গিয়েছে সারা বিশ্বে প্রতি ২০ জন মহিলার মধ্যে অন্তত ১ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। আর আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে এই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ৩৫ লাখ! (প্রতীকী ছবি)
advertisement
3/8
সফল চিকিৎসার পরও মাথা চাড়া দিতে পারে এই ভয়ঙ্কর রোগ! সতর্ক না হলেই ভয়ঙ্কর বিপদ...
একইসঙ্গে প্রতি বছরে পাল্লা দিয়ে বাড়বে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর হারও। প্রতি বছর স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর হার দাঁড়াবে ১১ লক্ষ। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
4/8
তিনি মেসেঙ্কাইমাল স্টেম সেলগুলিকে "উদার প্রতিবেশী" হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যারা ক্যানসার কোষগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহ করে, যা ক্যানসার কোষগুলিকে আরও আগ্রাসী এবং চিকিৎসার প্রতি প্রতিরোধী করে তোলে।
ম্প্রতি 'দ্য ল্যানসেট' মেডিক্যাল জার্নালে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সেখানেই ভারতে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে তা পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরা হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেদিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর হিসাব অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে আমেরিকা আর চিনের পরেই স্তন ক্যানসারে ভারতের স্থান রয়েছে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
5/8
এই প্রোটিনটি ক্যানসার কোষগুলিকে এস্ট্রোজেন লক্ষ্যযুক্ত চিকিৎসা যেমন টামোক্সিফেনের প্রতি প্রতিরোধী হতে সাহায্য করে, যার ফলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বহু বছর শরীরে টিকে থাকতে পারে।
এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে প্রতি বছর ২৮ জন মহিলা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। শহরে প্রতি ২২ জনের মধ্যে এক জন আক্রান্ত হন এবং প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতি ৬০ জনের মধ্যে এক জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
6/8
ক্যানসার কোষ এবং স্টেম সেলগুলির মধ্যে এই বিনিময় ক্যানসারের চিকিৎসা এড়ানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা তার স্থায়িত্ব এবং পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ক্যানসার একদম শুরুর দিকে ধরা পড়লে তা চিকিৎসার মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব। কিন্তু, এই ধরনের ক্যানসার একবার সেরে যাওয়ার পর ফের তা ফিরে আসতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ঘটনাকে 'মেটাস্ট্যাটিক ডেভেলপমেন্ট’ বলা হয়। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
7/8
স্তন ক্যানসার, সফল চিকিৎসার পরও কখনও কখনও লুকিয়ে থাকা হুমকি হয়ে থাকতে পারে৷ কারণ কিছু ক্যানসারের কোষ শরীরের মধ্যে বছরের পর বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এই অস্বস্তিকর বাস্তবতা সম্প্রতি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. গ্যারি লুকারের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে।
ক্যানসার ফিরে আসার প্রবণতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা দায়ী করছেন পারিবারিক ইতিহাসের উপর। কারণ একবার নির্মূল হলে সাধারণত, পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে ফিরে আসে না স্তন ক্যানসার। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ ভীষণ জরুরি। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
8/8
একটি প্রতিবেদনে, ড. গ্যারি লুকার, যিনি এই গবেষণার প্রধান লেখক, বলেছেন যে ক্যানসার কোষগুলি আসলে মেসেঙ্কাইমাল স্টেম সেল থেকে সরাসরি প্রোটিন এবং মেসেঞ্জার আরএনএ সহ বিভিন্ন অণু "ধার" করতে পারে।
সময় মতো পেট সিটি স্ক্যান, ম্যামোগ্রাফি পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়াও, স্তনে ব্যথা অনুভূত হলে তা ফেলে না রেখে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
advertisement
advertisement