#MeToo: সেক্স বিষয়টা চা খাওয়ার মতোই, জোর করবেন না

#MeToo ঝড়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়৷ রোজই সামনে আসছে নতুন ঘটনা, তালিকায় জুড়ছে নতুন নাম৷ সেই সঙ্গেই তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন ঠিক কোনটা 'হ্য়াঁ', কোনট 'না৷' ভাইরাল হওয়া ভিডিও টি অ্যান্ড কনসার্ন উত্তর দিচ্ছে সেই প্রশ্নেরই৷ মনে করুন আপনি কাউকে চা খাবে কিনা জিজ্ঞেস করছেন৷ এর উত্তরে তিনি যা বলবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি কী করবেন৷ পড়ার সময় চা-এর বদলে সেক্স পড়ুন৷

যদি তিনি বলেন যে চা খাবেন তাহলে আপনি নিশ্চিত হয়ে তার জন্য চা বানাতে পারেন৷

তিনি যদি নিশ্চিত ভাবে হ্য়াঁ বা না কোনওটাই না বলেন তাহলে আপনি নিজের দায়িত্বে চা বানাতেই পারেন কিন্তু ধরে নিতে হবে যে চা বানানোর পর তিনি নাও খেতে পারেন৷ আর যদি তিনি সত্যিই না খান, তাহলে খেতে জোর করবেন না৷ আপনি বানিয়েছেন মানে তিনি খেতে বাধ্য নন৷

যদি তিনি সরাসরি না বলে দেন তাহলে চা বানাবেন না এবং খেতে সাধাসাধি করবেন না৷

এমনটাও কিন্তু হতে পারে যে উনি আপনাকে চা বানাতে বললেন কিন্তু বানিয়ে আনার পর সেই চা খেলেন না৷ আপনি পরিশ্রম করে বানিয়েছেন ঠিকই কিন্তু তা সত্ত্বেও উনি মত বদলাতেই পারেন৷ সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনি জোর করে চা খাওয়াতে পারেন না৷

কোনও ঘুমন্ত মানুষকে নিশ্চয়ই আপনি চা খাওয়াবেন না? ঘুমিয়ে থাকলে কেউ চা খাবে কি খাবে না, সেই উত্তর দেওয়ার অবস্থায় থাকে না৷ তাই আপনি তাকে জোর করে চা খাওয়াতে পারেন না৷

আবার এমনটাও হতে পারে যখন আপনি তাকে যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন চা খাবেন কিনা তিনি হ্য়াঁ বলেছিলেন৷ কিন্তু চা বানিয় আনার পর দেখলেন তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন৷ তাহলে কিন্তু আপনি চা খাওয়ার জন্য তাকে জোর করতে পারেন না৷ চায়ের কাপটা নামিয়ে রাখুন৷

যদি চা আনার পর সেই চা খেতে খেতেও উনি ঘুমিয়ে পড়েন তাহলেও আপনি তাঁর গলায় জোর করে চা ঢালতে থাকবেন না৷ ঘুমিয়ে পড়লে কেউই আর কিছু চান না৷ আর সেক্ষেত্রে তার সুরক্ষার দায়িত্বও কিন্তু আপনার৷

তিনি যদি একবার আপনার বাড়িতে আসেন এবং চা খান তার মানেও কিন্তু এমনটা দাঁড়ায় না যে তিনি প্রতিদিনই আপনার বাড়িতে আসতে এবং আপনার সঙ্গে বসে চা খেতে ইচ্ছুক৷ বার বার তাকে আপনার বাড়িতে এসে চা খাওয়ার জন্য জোর করতে পারেন না৷