স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পুরুষদের গোপনাঙ্গের ক্ষেত্রে। যৌনাঙ্গের সঠিক যত্ন নিলে যৌন রোগের আশঙ্কা কমে অনেকখানি। তাছাড়া গবেষণা বলছে, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতার কারণে যৌন মিলনেও সুখ বাড়ে। তাই যৌন স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা নিজেদের গোপনাঙ্গের যত্নের প্রতি অবহেলা করেন বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতোই নিয়মিত গোপনাঙ্গের যত্ন নেওয়া জরুরি। এর কয়েকটি সহজ উপায় রয়েছে।
নিয়মিত ধোয়া এবং গ্রুমিং: প্রত্যেকবার প্রস্রাবের পর, স্নানের সময় এবং সঙ্গমের আগে পরে গোপনাঙ্গ ধুয়ে পরিষ্কার করা উচিত। বিশেষত, পুরুষদের অজান্তেই শিশ্নের টাইসন গ্রন্থির ক্ষরণ হয়। তাই ফোরস্কিন টেনে জল দিয়ে ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যৌনকেশও প্রতিদিন নিয়ম করে ধোয়া উচিত। কারণ ঘামের ফলে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সবচেয়ে ভালো ছেঁটে ময়েশ্চারাইজ করা। তাহলেই অনেকটা সমস্যামুক্ত থাকা যাবে।
ভালো ফিট হয় এমন অন্তর্বাস: আদর্শ অন্তর্বাস কখনও খুব বেশি টাইট বা খুব ঢিলেঢালা হবে না। সবচেয়ে ভালো সুতি কিংবা সুতির মিশ্রণ আছে এমন কাপড়ের অন্তর্বাস ব্যবহার করা। এটা ঘাম শুষে নিতে পারবে। তবে যৌনাঙ্গের চারপাশ অতিরিক্ত ঘামলে, শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া উচিত। ঘাম জমে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তাছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের গোপনাঙ্গ এবং তার চারপাশ সবসময় শুকনো রাখাই উচিত। সাইজ অনুযায়ী এবং খানিকটা কমফোর্টেবল থাকা যায় এমন অন্তর্বাস পরিধান করতে হবে।
ইন্টিমেট ওয়াশ: ইদানিং বাজারে খোঁজ করলেই ইন্টিমেট ওয়াশ পাওয়া যায়। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে গোপনাঙ্গের চারপাশ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় না, এমনকী জীবাণুর সংক্রমণও হয় না। কয়েকদিন অন্তর অন্তর গোপনাঙ্গে ঘা, ফুসকুড়ি বা ফোস্কা লক্ষ্য করলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করিয়ে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করাই বাঞ্ছনীয়।
স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া: ডায়েট সবকিছু। গোপনাঙ্গে ঘাম এবং দুর্গন্ধ রোধ করে এমন খাবার মেনুতে রাখলে তা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। এ জন্য সাইট্রাস ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এটা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সাহায্য করে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। রোজকার রুটিনের এই ছোটখাটো পরিবর্তনগুলোই নিজেকে আরও ভালো রাখতে সাহায্য করবে।