#কলকাতা: শীতকাল এসে গিয়েছে। শীতের আমেজ আর উৎসবের মরশুমে মেতেছে প্রায় সকলে। এই সময়ে বাঙালির ঘরে পিঠে পুলি, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি হয়ে থাকে। সামনে রয়েছে ক্রিসমাস, ফলে কেকও প্রায় সব বাড়িতেই তৈরি হয়। আর এই সমস্ত ডিশে চিনির ভূমিকা প্রধান। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি খাওয়া শরীরে একাধিক ক্ষতি করে। চিনিকে চিকিৎসকরা হোয়াইট পয়জনও বলে থাকেন। তাই সাধারণ চিনির বদলে আজকাল অনেকেই lifestyle -এ কোকোনাট সুগার (Coconut Sugar)-কে বেছে নিচ্ছেন। আজকাল খাবারের স্বাদের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখেও খাবার প্রস্তুতি নিতে হয় ফলে বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁকেন। আর যে কোনও ডেসার্টকে স্বাস্থ্যকর বানাতে কোকোনাট সুগারের (Coconut Sugar)জুড়ি মেলা ভার।
কী এই কোকোনাট সুগার?
নারকেল ফুল বা নারকেল গাছের মুচি থেকে মিষ্টি রস বের হয়। যাকে সরকারি ভাষায় বাংলায় নীরা বলা হয়। এই নারকেল মুচি কেটে তাতে পাত্র ঝুলিয়ে প্রথমে রস সংগ্রহ করা হয় এবং পরে গুড় যেভাবে তৈরি করা হয় ফুটিয়ে, সেভাবেই ফোটানো হয় এবং জল বাস্পে পরিণত হলে লালচে ভাব আসে এবং পরে তা দিয়ে চিনি তৈরি হয়। এই চিনির দানা সাধারণ চিনির মতো বড় বা মাঝারি হয় না, তুলনায় অনেকটা ছোট হয়। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগী থেকে সাধারণ মানুষ, সকলকেই এই কোকোনাট সুগার বা নারকেল চিনি বিকল্প হিসেবে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কোকোনাট সুগারে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট থাকে
হার্ট, নার্ভ এবং পেশি স্বাভাবিক ও ভালো রাখতে ইলেকট্রোলাইটের প্রয়োজন শরীরে। এই ইলেকট্রোলাইট জলের কাজ করে। কোকোনাট সুগারে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট থাকে। ফলে শরীর ভালো রাখে এই চিনি। পাশাপাশি এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সোডিয়ামও প্রচুর পরিমাণে থাকায় শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সাধারণ চিনির থেকে কয়েকশো গুণ বেশি পটাশিয়াম কোকোনাট সুগারে থাকে।