'আমার দেড় মাসের স্যালারি বাকি...', বন্দে ভারত ট্রেনে বসে Video পোস্ট করলেন 'ভেন্ডর', পরক্ষণেই যা ঘটল, পায়ের তলা থেকে সরল মাটি!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railways: বন্দে ভারত ট্রেনটি এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেনের মধ্যে অন্যতম। সেমি হাই স্পিড এই ট্রেনের টিকিটের দাম থেকে অত্যাধুনিক ফিচার সবই এই ট্রেনটিকে দেশের অন্যান্য ট্রেনের থেকে আলাদা মর্যাদা দেয়। এককথায় 'হাই-ফাই' বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনেরই একটি ভিডিও সম্প্রতি পোস্ট হতেই তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী এমন দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে যা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে?
বন্দে ভারত ট্রেনটি এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেনের মধ্যে অন্যতম। সেমি হাই স্পিড এই ট্রেনের টিকিটের দাম থেকে অত্যাধুনিক ফিচার সবই এই ট্রেনটিকে দেশের অন্যান্য ট্রেনের থেকে আলাদা মর্যাদা দেয়।
advertisement
এই ট্রেনের স্বাচ্ছন্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে দেশের সব প্রান্তেই। অনেক যাত্রীরাই এই ট্রেনের টিকিট পেলে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই লাফিয়ে ওঠেন। তার অন্যতম কারণ এই ট্রেনের একাধিক দুর্দান্ত পরিষেবা।
advertisement
ট্রেনে উঠলেই একের পর এক ট্রে ভর্তি খাবার যেমন এসে হাজির হয় আপনার সামনে, ঠিক তেমনই আবার ট্রেনের কামরায় বসার আসন থেকে জানালা সবই একদম অন্যরম। রয়েছে আধুনিক মানের টয়লেটও।
advertisement
এহেন এককথায় 'হাই-ফাই' বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনেরই একটি ভিডিও সম্প্রতি পোস্ট হতেই তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী এমন দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে যা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে?
advertisement
ভিডিওটিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের একজন ভেন্ডারকে কিছু কথা বলতে দেখা গিয়েছে। যা বলতে বলতে একসময় কেঁদে ফেলেছে ওই যুবক। আর তাঁর কান্নার এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।
advertisement
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বসে থাকা এক বিক্রেতা ক্যামেরার সামনে তার প্রতি 'অবিচার' সম্পর্কে অভিযোগ জানাচ্ছেন। ভিডিও ক্লিপে, লোকটিকে ঠিকাদার কোম্পানি থেকে শুরু করে আইআরসিটিসি পর্যন্ত প্রত্যেক পর্যায়ে তাঁর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে বলে একের পর এক চরম অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে।
advertisement
ভিডিওতে বন্দে ভারতের ওই বিক্রেতা তাঁর অসহায় পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলতে শোনা যায়, "আমার ম্যানেজার এসে আমাকে ট্রেন থেকে মিরাটে নেমে যেতে বলেছেন। এই গাড়িতে আমার দেড় মাসের স্যালারি এখনও বাকি আছে।"
advertisement
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে এই ট্রেনের কর্মীদের মধ্যে তাঁর বেশ কয়েকজন সহকর্মীরও বেতন বকেয়া রয়েছে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না, প্রতিবাদ করছে না। তাই তিনি বাধ্য হয়েই একটি ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
advertisement
বিক্রেতা জানান, "আমি কোম্পানির জিএম-এর কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছি। তারপরেই আমাকে পরবর্তী স্টেশনে নামিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।" ভিডিওতে ব্যক্তি আরও ব্যাখ্যা করেন যে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং যে ঠিকাদার কোম্পানিতে তিনি কাজ করতেন সেখানে বেতনের সমস্যা রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন ওই ভেন্ডর। তিনি আরও বলেন যে অন্যান্য কোম্পানির জিএমদেরও তাঁকে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে এই ঠিকাদার কোম্পানির তরফ থেকে।
advertisement
বন্দে ভারতের ওই ভেন্ডর কর্মী ভিডিও বার্তায় একথাও ব্যাখ্যা করেন যে ওই ভিডিওটি তৈরি করার কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং গত তিন মাস ধরে তিনি তাঁর স্যালারি পর্যন্ত পাননি, যার ফলে বাজারে ১৫,০০০-২০,০০০ টাকার ঋণে ডুবে গিয়েছেন তিনি।
advertisement
ভিডিওটির শেষে কথা বলতে বলতে চোখ জলে ভিজে ওঠে ওই কর্মীর। যা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অনেকেই তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন।
advertisement
তবে এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই আইআরসিটিসি তাঁর দাবির জবাব দিয়েছে, কেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হল তাও জিজ্ঞাসা করেছে আইআরসিটিসি। সম্পর্কে বেশ কিছু মন্তব্য করছেন। ভাইরাল ভিডিওটির জবাবে আইআরসিটিসি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করে, "তাঁরা তাঁকে কেন বরখাস্ত করল?"
advertisement
এখানেই শেষ নয়, এমনকি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে বড় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আইআরসিটিসি। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁরা জানতে চায় ওই ভেন্ডারকে বরখাস্ত করার আসল কারণই বা কী?
advertisement