Fridge: সিঙ্গেল ডোরের 'ডিপ ফ্রিজে' বরফের পাহাড়! ডিফ্রস্টের দরকার নেই, ১ 'চিমটি' সাদা জিনিসেই গলবে নিমেষে, চিরতরে সমস্যা গায়েব

*বৃষ্টির সময় বা বর্ষায় বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা অনেক বেড়ে যায়। আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘরে ও রান্নাঘরে উপস্থিত ইলেকট্রনিক ডিভাইসেও নানা প্রভাব দেখা যায়। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন বৃষ্টিতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ফ্রিজে রাখা জিনিসের গায়ে ছোট ছোট জলের ফোঁটা জমে।

*ফ্রিজের পাশাপাশি থাকা ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজও বর্ষাকালে অনেক বেশি সমস্যা তৈরি করে। কয়েকদিনের মধ্যেই ফ্রিজের ভেতরে বরফের পাহাড় জমতে শুরু করে। ফ্রিজে বরফ জমে শীতলকরণকে প্রভাবিত করে / একই সময়ে, বিদ্যুতের ব্যবহারও বেশি হয়।

*ফ্রিজের পাশাপাশি থাকা ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজও বর্ষাকালে অনেক বেশি সমস্যা তৈরি করে। কয়েকদিনের মধ্যেই ফ্রিজের ভেতরে বরফের পাহাড় জমতে শুরু করে। ফ্রিজে বরফ জমে শীতলকরণকে প্রভাবিত করে / একই সময়ে, বিদ্যুতের ব্যবহারও বেশি হয়।

*মাত্রাতিরিক্ত বরফ জমার কারণে অনেক সময় ফ্রিজ থেকে কিছু জিনিস বাইরে বের করে ফেলতে হয়, না হলে মনে হয় ডিপ ফ্রিজের গেট ভেঙে যাবে। এই পরিস্থিতিতে, আমরা বরফ গলানোর জন্য ফ্রিজ বন্ধ করি বা ডিফ্রস্ট করি, তবে ঘন ঘন ফ্রিজ বন্ধ এবং ডিফ্রস্ট করার ফলে ফ্রিজ দ্রুত খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

*যদি বর্ষাকালে আপনার ফ্রিজারের ভিতরে বরফের পাহাড় থাকে এবং আপনি এটি গলে যাওয়ার জন্য খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তবে আজকের পরে এই ভুলগুলি মোটেও করবেন না।

*ফ্রিজ দেয়াল থেকে দূরে রাখুনঃ অনেকেই তাদের ফ্রিজ পুরোপুরি দেয়ালের সঙ্গে একেবারে সাঁটিয়ে রাখেন জায়গা বাঁচাতে। এটা করা একেবারেই ঠইক নয়। ফ্রিজটি দেয়ালে আটকে রাখলে ভেন্টিলেশন বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ফ্রিজে উৎপাদিত গ্যাস বের হতে পারে না এবং ফলে ফ্রিজে প্রচুর পরিমাণে বরফ জমতে শুরু করে। একই সঙ্গে দেয়ালের সঙ্গে ফ্রিজ সংযুক্ত রাখলে ফ্রিজ ঠান্ডা হওয়াও মানও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফ্রিজ গরম হয়ে বের না হওয়ার কারণে ফ্রিজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

*দীর্ঘ সময় বা ঘন ঘন ফ্রিজ খুলবেন নাঃ আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন যখন আমাদের ফ্রিজ বা ফ্রিজার থেকে বেশি জিনিস সরাতে হয়, তখন আমরা দীর্ঘ সময় ধরে ফ্রিজ বা ফ্রিজার দাঁড়িয়ে থাকি বা খুলি বা ঘন ঘন খুলি। শিশুরাও একই কাজ করে। যার কারণে বাইরের গরম বাতাস ফ্রিজ ও ফ্রিজারের ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষ করে। যার কারণে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ফ্রিজে থাকা বরফ দ্রুত জমতে শুরু করে।

*বরফের পাহাড় গলানোর উপায়ঃ আমরা সবাই খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য লবণ ব্যবহার করি। তবে আমি যদি আপনাকে বলি যে লবণের সাহায্যে আপনি বরফকে জমাট বাঁধা থেকে থামাতে পারেন, তবে সম্ভবত আপনি এটি একটি কৌতুক খুঁজে পাবেন। কিন্তু এটাই সত্যি। নুন দিয়ে ফ্রিজের বরফ সহজেই গলিয়ে দেওয়া সম্ভব।

*লবণ বরফের গলনাঙ্ক হ্রাস করে, যার ফলে বরফ সহজেই গলে যায়। তাই আপনিও যদি ঘন ঘন বরফ জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে একবার এই হ্যাক করে দেখুন।

*খুব বেশি গরম খাবার রাখবেন নাঃ মানুষ অনেক সময় গরম খাবার বা দুধ ইত্যাদি ফ্রিজে রাখে। এটা একেবারেই করা উচিত নয়। গরম জিনিস ফ্রিজে ঢুকে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসে। যার কারণে বাষ্প তৈরি হয় এবং ফ্রিজের ভেতরে আর্দ্রতা উৎপন্ন হয়। এ কারণে ফ্রিজে বরফের চাদর ছড়াতে শুরু করে। তাই সব সময় ঠাণ্ডা হওয়ার পরই খেয়ে নিন বা যেকোনো খাবার ফ্রিজে রাখুন।

*ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুনঃ আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন আমরা যখন ফ্রিজ বন্ধ করি তখন ফ্রিজের দরজায় রাবার থাকে। এ অবস্থায় আমরা যখন ফ্রিজ বন্ধ করি তখন এই রাবারের সাহায্যে ফ্রিজটি ভালভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফ্রিজের রাবার ঢিলে হয়ে গেলে বা ময়লা জমার কারণে ফ্রিজ ভালোভাবে বন্ধ হয় না এবং বাইরে থেকে আসা গরম বাতাস ভেতরের ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে মিলিত হয়ে আর্দ্রতা তৈরি করে। যার কারণে ফ্রিজে প্রচুর পরিমাণে বরফ জমতে শুরু করে।