Healthy Married Life: সপ্তাহে, মাসে, বছরে...কতবার ঘনিষ্ঠ হওয়া ‘উচিত’ স্বামী-স্ত্রীয়ের? বয়স অনুযায়ী কোনটা আদর্শ...সুস্থ থাকার চাবিকাঠি বলে দিচ্ছে বিজ্ঞান
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল মেডিসিন (ISSM) এর রিপোর্টের মতে , স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে মিলনের জন্য কোনও সংখ্যা নির্দিষ্ট করা নেই৷ এখানে বলে রাখা জরুরি, বর্তমানে যেমন রয়েছে, সেভাবেই যদি কারও বৈবাহিক জীবন সুখের হয়, তাহলে তাতে সংখ্যার দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন না-ও হতে পারে৷
advertisement
ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই মনে হয় সন্তানের জন্মের পরে স্বামী-স্ত্রীয়ের শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আর তেমন প্রয়োজনীয়তা থাকে না৷ অথবা, কখনও সখনও অবরে-সবরে আড়ালে আবডালে সম্পর্ক স্থাপন হলেই চলে৷ নিয়মিত, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসাবে বিষয়টিকে রাখার তেমন প্রয়োজনীয়তা নেই৷ কিন্তু, বিজ্ঞান সে কথা বলে না৷
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা এবং বিবাহিত জীবনে সুখী বোধ করার জন্য একটি দম্পতির কতবার ঘনিষ্ঠ হতে হবে তার কোনও আদর্শ সংখ্যা নেই। প্রকৃতপক্ষে, আরও পরিপূর্ণ যৌন জীবন লাভের মূল চাবিকাঠি হল আপনার যৌন চাহিদাগুলি আপনার সঙ্গীকে স্পষ্টভাবে জানানো এবং সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করা৷ উভয় সঙ্গীই যেন একে অপরকে সন্তুষ্ট করার জন্য চেষ্টা করেন।
advertisement
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল মেডিসিন (ISSM) এর রিপোর্টের মতে , স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে মিলনের জন্য কোনও সংখ্যা নির্দিষ্ট করা নেই৷ এখানে বলে রাখা জরুরি, বর্তমানে যেমন রয়েছে, সেভাবেই যদি কারও বৈবাহিক জীবন সুখের হয়, তাহলে তাতে সংখ্যার দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন না-ও হতে পারে৷ সাধারণত, পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কোনও দম্পতি যত দিন অন্তর মিলিত হয়ে থাকেন, তাঁদের পক্ষে সেটাই স্বাভাবিক ফ্রিকোয়েন্সি। এটি দম্পতিদের মধ্যে বোঝাপড়ার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
advertisement
সম্পর্কের উপর বয়সের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌন মিলনের হার কমে যায়। হরমোনের পরিবর্তনও এতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে শুরু করে এবং মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করে। এটিও শারীরিক সম্পর্কের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই নিজেদের শরীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েই মিলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এবং সঙ্গীর সুবিধা-অসুবিধার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
advertisement
জার্নাল অফ সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পার্সোনালিটি সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে, যারা সপ্তাহে একবার যৌনমিলন করেন তারা বেশি সুখী ছিলেন এবং যারা সপ্তাহে চার বা তার বেশি বার যৌনমিলন করেন তাদের সুখের মাত্রায় কিন্তু কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেনি। তাই সংখ্যায় নয়, আদরে মনোযোগ দিন৷