Hot Food Myth: ধোঁয়া ওঠা গরম নাকি হাল্কা গরম খাবার খান? শরীরের বারোটা বাজাচ্ছে 'এই' অভ্যেস, দাবি ডাক্তারের! সাবধান

Last Updated:
Hot Food Myth: শারীরিক সুস্থতার জন্য চাই সুষম আহার। অনেকেই তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ডায়েট চার্ট তৈরি করেন। কিন্তু খাবার খাওয়ার এই এক অভ্যেসে হজমের দফারফা হবে।
1/8
ধোঁয়া ওঠা গরম গরম এক থালা ভাত আর ঘি। আহ, আর কী চাই। আহ, উহ করতে করতেই এক থালা সাবাড়। কিন্তু এভাবে খেলে শরীরের আদৌ কোনও লাভ হয় না। উল্টে ক্ষতি হয়। হ্যাঁ, আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি।
ধোঁয়া ওঠা গরম গরম এক থালা ভাত আর ঘি। আহ, আর কী চাই। আহ, উহ করতে করতেই এক থালা সাবাড়। কিন্তু এভাবে খেলে শরীরের আদৌ কোনও লাভ হয় না। উল্টে ক্ষতি হয়। হ্যাঁ, আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি।
advertisement
2/8
শারীরিক সুস্থতার জন্য চাই সুষম আহার। অনেকেই তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ডায়েট চার্ট তৈরি করেন। মেপে রাখেন শরীরে কতটা পুষ্টি যাবে আর কতটা ক্যালোরি। কিন্তু আসল জিনিসটাই এড়িয়ে যান। সেটা হল খাবারের তাপমাত্রা।
শারীরিক সুস্থতার জন্য চাই সুষম আহার। অনেকেই তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ডায়েট চার্ট তৈরি করেন। মেপে রাখেন শরীরে কতটা পুষ্টি যাবে আর কতটা ক্যালোরি। কিন্তু আসল জিনিসটাই এড়িয়ে যান। সেটা হল খাবারের তাপমাত্রা।
advertisement
3/8
পুষ্টিবিদ বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের মতে, খাবারের তাপমাত্রা স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই খাবার গরম গরম খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকের ঠান্ডা খাবার পছন্দ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব গরম বা খুব ঠান্ডা নয়, খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রা অর্থাৎ ঘরের তাপমাত্রায় খাওয়াই উচিত। এতে হজম ভাল হয়, এনার্জি মেলে সঙ্গে অন্যান্য উপকারও।
পুষ্টিবিদ বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের মতে, খাবারের তাপমাত্রা স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই খাবার গরম গরম খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকের ঠান্ডা খাবার পছন্দ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব গরম বা খুব ঠান্ডা নয়, খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রা অর্থাৎ ঘরের তাপমাত্রায় খাওয়াই উচিত। এতে হজম ভাল হয়, এনার্জি মেলে সঙ্গে অন্যান্য উপকারও।
advertisement
4/8
এনার্জি: খাবারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরে এনার্জি ক্ষয় করে, যাতে সঠিকভাবে হজম হয়। এখন গরম বা ঠান্ডা খাবার হলে তাপমাত্রায় ভারসাম্য আনতে শরীর অতিরিক্ত এনার্জি ব্যয় করবে। কিন্তু ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবার খেলে সেই এনার্জি বাঁচবে। এটা খাওয়ার পর অতিরিক্ত ক্লান্তির হাত থেকেও রক্ষা করবে।
এনার্জি: খাবারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরে এনার্জি ক্ষয় করে, যাতে সঠিকভাবে হজম হয়। এখন গরম বা ঠান্ডা খাবার হলে তাপমাত্রায় ভারসাম্য আনতে শরীর অতিরিক্ত এনার্জি ব্যয় করবে। কিন্তু ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবার খেলে সেই এনার্জি বাঁচবে। এটা খাওয়ার পর অতিরিক্ত ক্লান্তির হাত থেকেও রক্ষা করবে।
advertisement
5/8
হজম: শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি গরম বা ঠান্ডা খাবার খেলে স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবার শরীর খুব সহজে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। খাবারের তাপমাত্রায় সামঞ্জস্য আনার জন্য শরীরকে অতিরিক্ত তাপ তৈরি করতে না হওয়ায় হজমও ভাল হয়। এবং সহজে হয়।
হজম: শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি গরম বা ঠান্ডা খাবার খেলে স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবার শরীর খুব সহজে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। খাবারের তাপমাত্রায় সামঞ্জস্য আনার জন্য শরীরকে অতিরিক্ত তাপ তৈরি করতে না হওয়ায় হজমও ভাল হয়। এবং সহজে হয়।
advertisement
6/8
পরিপাকতন্ত্রের আরাম: অত্যন্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার মুখ ও খাদ্যনালী সহ্য করতে পারে না। ঠান্ডা খাবারের কারণে পরিপাকতন্ত্রের পেশিতে অতিরিক্ত সংকোচন হতে পারে। ফলে পেশির টান বা ক্র্যাম্প দেখা দেওয়াও অসম্ভব নয়। এর প্রভাব পড়ে হজমে। ধীর হজম প্রক্রিয়ার কারণে পেট ফাঁপা, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
পরিপাকতন্ত্রের আরাম: অত্যন্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার মুখ ও খাদ্যনালী সহ্য করতে পারে না। ঠান্ডা খাবারের কারণে পরিপাকতন্ত্রের পেশিতে অতিরিক্ত সংকোচন হতে পারে। ফলে পেশির টান বা ক্র্যাম্প দেখা দেওয়াও অসম্ভব নয়। এর প্রভাব পড়ে হজমে। ধীর হজম প্রক্রিয়ার কারণে পেট ফাঁপা, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
advertisement
7/8
পুষ্টির শোষণ: শরীর ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবার থেকে আরও ভালভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে। ভিটামিন সি-এর মতো কিছু পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই সক্রিয় থাকে। এই অবস্থাতেই সেগুলো গ্রহণ করা উচিত। যাতে দেহ তা ধরে রাখতে এবং ভালভাবে ব্যবহার করতে পারে।
পুষ্টির শোষণ: শরীর ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবার থেকে আরও ভালভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে। ভিটামিন সি-এর মতো কিছু পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই সক্রিয় থাকে। এই অবস্থাতেই সেগুলো গ্রহণ করা উচিত। যাতে দেহ তা ধরে রাখতে এবং ভালভাবে ব্যবহার করতে পারে।
advertisement
8/8
গুণগত মান এবং স্বাদ: গরম খাবারের স্বাদ সেভাবে বোঝা যায় না। জিভ গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাকেই প্রাধান্য দেয়। স্বাদে নয়। ঠান্ডা খাবারের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ইন্দ্রিয় অসাড় হয়ে যায়। এতে পেট ভরে বটে, কিন্তু তৃপ্তি মেলে না। অতিরিক্ত খাবার প্রবণতাও দেখা যায়। ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবারে এই অসুবিধা নেই। তাড়িয়ে তাড়িয়ে স্বাদ উপভোগ করা যায়।
গুণগত মান এবং স্বাদ: গরম খাবারের স্বাদ সেভাবে বোঝা যায় না। জিভ গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাকেই প্রাধান্য দেয়। স্বাদে নয়। ঠান্ডা খাবারের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ইন্দ্রিয় অসাড় হয়ে যায়। এতে পেট ভরে বটে, কিন্তু তৃপ্তি মেলে না। অতিরিক্ত খাবার প্রবণতাও দেখা যায়। ঘরোয়া তাপমাত্রার খাবারে এই অসুবিধা নেই। তাড়িয়ে তাড়িয়ে স্বাদ উপভোগ করা যায়।
advertisement
advertisement
advertisement