Food to cause Heart Attack: হার্টের গায়ে জমবে ‘পুরু মেদ’! ‘এমন’ ৭ ঘরোয়া খাবারেই ঝাঁঝরা হার্ট! যখন তখন হার্ট অ্যাটাক এড়াতে আজই জানুন

হৃদরোগের এখন আর নির্দিষ্ট বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই হতে পারে হদযন্ত্রের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ডায়েটের জন্য হৃদরোগ দেখা দেয়।

স্বাস্থ্যকর খাবারকে খাদ্যতালিকার অংশ করা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। হৃদযন্ত্রের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন খাবার বাদ দেওয়াও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

অস্বাস্থ্যকর ডায়েট হলে হৃদযন্ত্রের পেশির চারপাশে অতিরিক্ত মেদ জমে। দেখা দেয় ফ্যাটি হার্টের সমস্যা। জানুন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে, হৃদরোগ এড়াতে কী কী খাবেনই না। বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল।

অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো হৃদরোগের কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি গ্রহণ হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের কারণও হতে পারে।

রেড মিট খেলে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের সমস্যাও হতে পারে। তাই রেড মিট বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে স্যাচিওরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

যদি আপনি চান আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকুক, তাহলে আপনার সোডা খাওয়াও এড়িয়ে চলা উচিত। সোডা পানকারীদের মধ্যে হৃদরোগ, স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি হতে পারে। তাই সোডা জল-ভিত্তিক কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকে দূরে থাকা আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হতে পারে।

ডিপ-ফ্রাইড মুরগি আপনার খাদ্যতালিকায় ক্যালোরি, ফ্যাট এবং সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদরোগ, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। তাই, ডিপ-ফ্রাই করার পরিবর্তে মুরগির অন্য পদ খাওয়া ভাল।

মাখনে প্রচুর পরিমাণে স্যাচিওরেটেড ফ্যাট থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই, হৃদরোগের সুস্থতা বজায় রাখতে মাখন থেকে দূরে থাকাই ভাল। আপনি যদি চান, তাহলে সীমিত পরিমাণে জলপাই তেল বা উদ্ভিজ্জ তেল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

আজকাল মানুষ ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের প্রতি পাগল, কিন্তু আপনার এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং লবণ থাকে, যা আমাদের হৃদরোগের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা হ্যাশ ব্রাউন খান তাদের অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।

যদি আপনি স্বাদযুক্ত পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দই খেতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার অবশ্যই জানা উচিত যে যারা প্রতিদিন এটি খান তাদের উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, পেট ফাঁপা এবং হৃদরোগের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি খাদ্যতালিকায় এটিকে সাধারণ এবং কম চর্বিযুক্ত দই দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারেন।