সারা দিনে একাধিক কাজ, ব্যস্ততা, দিনের শেষে যৌনসঙ্গমে অনীহা তৈরি হয় অনেকেরই। আগামীকাল হবে, এই বলেই কিছুটা এড়িয়ে যাওয়া যায় বিষয়টি। ইচ্ছে থাকলেও শরীরে দেয় না- এমনও অনেকে বলে থাকেন।এমন হলে, যৌনসঙ্গম ছাড়াই জীবন কেটে যাবে কারণ আগামীকাল কখনওই আসে না। পরের দিনও একই রকম ব্যস্ততা বা ক্লান্তির ফলে সেই মুহূর্ত আর আসবে না। এর ফলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। তাই সব কিছু নিয়ম মতো, সময় মতো করার সঙ্গে সঙ্গেই যৌনসঙ্গমও নিয়ম মতো, রুটিন মেনে করার কথা বলছেন তাঁরা।
শুনলে হয়তো অদ্ভুত লাগতে পারে এই নিয়ম মেনে, সময় নির্ধারণ করে যৌনসঙ্গমের লিপ্ত হওয়ার বিষয়টি। কিন্তু চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলেই বলে থাকেন, অন্যান্য শারীরিক প্রক্রিয়ার মতোই যৌনক্রিয়াও স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তা ছাড়াও সময় মেনে এই কাজ করলে, নিজেকে সন্তুষ্ট করাও সম্ভব হবে। ভেবে দেখুন সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য যেমন অ্যালার্ম দিয়ে থাকেন, তেমনই যদি যৌনসঙ্গমের জন্যও দেন, তা হলে একদিনও এই সুযোগ মিস করার জায়গা থাকবে না।
ঠিক কেন যৌনসঙ্গমের জন্য সময় নির্ধারন করা প্রয়োজন? অল্প বয়সের যুগলদের জন্য যৌনসঙ্গম সবসময়ই উত্তেজনার বা আনন্দের। কিন্তু যাঁরা বহু দিন ধরে একসঙ্গে থাকেন বা এই কাজ করে আসছেন, তাঁদের জন্য এটা একঘেয়ে হয়ে যেতে পারে বা সারা দিনের অ্যাসাইনমেন্ট, প্রোজেক্ট বা ছেলে-মেয়ের দায়িত্বের ফাঁকে ফিকে হয়ে যেতে পারে।
এ ক্ষেত্রে কোনও ক্যালেন্ডারে তারিখ নির্বাচন করা যেতে পারে। কোন দিন যৌনসঙ্গম করা যাবে সেটা সেখানে লিখে রাখা যেতে পারে। এবং ক্যালেন্ডার এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে তা চোখে পড়ে। ডেটটি দেখলেই বার বার সেই দিনের জন্য অপেক্ষার সময় বাড়বে। এতে একের অপরের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি সেই ইচ্ছে অ্যাড্রিনালিন হরমোন নিঃসরণ করে, যাতে যৌন চাহিদাও বেড়ে যায়।
বর্তমানে স্মার্টফোনেও রিমাইন্ডার দেওয়া যায়। সেখানেও যদি রিমাইন্ডার দেওয়া থাকে, তা হলে বার বার ওই দিনটির কথা মনে পড়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দিনে সন্ধে ৭টা ৪৫ থেকে ৮টা ১৫-র মধ্যে রিমাইন্ডার এলে, রাতের জন্য আগে থেকে তৈরি হওয়া যাবে। আর এটাই সব চেয়ে ভালো সময়, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও। আর এ ক্ষেত্রে অ্যাপয়েনমেন্টের মতো করে বিষয়টি বিবেচনা করলে, এটির সঙ্গে ডিল করতে আরও বেশি সুবিধে হবে মনে করেন অনেকে।