Health Tips: সুন্দরবনের মধু সংগ্রহে মৌমাছি–বোলতার কামড়ে জ্বালা কমানোর ঘরোয়া উপায়

Last Updated:
Health Tips: মধু সংগ্রহকারীদের মধ্যে আরও একটি ঘরোয়া উপায় বেশ জনপ্রিয়—মধু লাগানো। স্থানীয়দের মতে, মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যথা কমানো ছাড়াও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মধু পাতলা করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে আরাম পাওয়া যায়।
1/6
সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ বরাবরই দুঃসাহসিক কাজ। জঙ্গলের গভীরে গিয়ে মৌচাক থেকে মধু তুলতে গিয়ে মৌলদের প্রায়শই মুখোমুখি হতে হয় মৌমাছি ও বোলতার আক্রমণের। হুলের ব্যথা থেকে শুরু করে তীব্র জ্বালা—সব মিলিয়ে এক কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাদের। তবে স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও কিছু প্রচলিত ঘরোয়া কৌশল মেনে চললে অনেকটাই কমানো যায় এই যন্ত্রণা।
সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ বরাবরই দুঃসাহসিক কাজ। জঙ্গলের গভীরে গিয়ে মৌচাক থেকে মধু তুলতে গিয়ে মৌলদের প্রায়শই মুখোমুখি হতে হয় মৌমাছি ও বোলতার আক্রমণের। হুলের ব্যথা থেকে শুরু করে তীব্র জ্বালা—সব মিলিয়ে এক কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাদের। তবে স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও কিছু প্রচলিত ঘরোয়া কৌশল মেনে চললে অনেকটাই কমানো যায় এই যন্ত্রণা।
advertisement
2/6
মৌমাছি বা বোলতার হুল লাগার সঙ্গে সঙ্গেই মৌলরা প্রথম যে কাজটি করেন, তা হলো হুলটি সাবধানে তুলে ফেলা। স্থানীয় অভিজ্ঞরা জানান, আঙুল দিয়ে আস্তে করে হুলের চারপাশ বোলাতে বোলাতে ধীরে ধীরে টেনে বের করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। এতে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে যায়।
মৌমাছি বা বোলতার হুল লাগার সঙ্গে সঙ্গেই মৌলরা প্রথম যে কাজটি করেন, তা হলো হুলটি সাবধানে তুলে ফেলা। স্থানীয় অভিজ্ঞরা জানান, আঙুল দিয়ে আস্তে করে হুলের চারপাশ বোলাতে বোলাতে ধীরে ধীরে টেনে বের করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। এতে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে যায়।
advertisement
3/6
হুল তোলার পর জ্বালা কমাতে বরফ ব্যবহার করা খুবই প্রচলিত। চিকিৎসক সাহেব আলীর মতে, হুল ফোটানো জায়গায় কয়েক মিনিট বরফ ঘষলে ফোলা ও জ্বালা কমে আসে। ঠান্ডা শেঁক দেওয়ার পর মৌলরা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করেন, যাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
হুল তোলার পর জ্বালা কমাতে বরফ ব্যবহার করা খুবই প্রচলিত। চিকিৎসক সাহেব আলীর মতে, হুল ফোটানো জায়গায় কয়েক মিনিট বরফ ঘষলে ফোলা ও জ্বালা কমে আসে। ঠান্ডা শেঁক দেওয়ার পর মৌলরা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করেন, যাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
advertisement
4/6
টুথপেস্টও সুন্দরবনের মৌলদের ভরসার একটি দ্রুত উপায়। মৌমাছি কামড়ানোর পর অনেকেই আক্রান্ত জায়গায় পাতলা করে টুথপেস্ট লাগান। এতে জ্বালাপোড়া কমে এবং টুথপেস্টের অ্যালকালাইন উপাদান বিষের প্রভাবও অনেকটা নিষ্ক্রিয় করে দেয় বলে মনে করা হয়।
টুথপেস্টও সুন্দরবনের মৌলদের ভরসার একটি দ্রুত উপায়। মৌমাছি কামড়ানোর পর অনেকেই আক্রান্ত জায়গায় পাতলা করে টুথপেস্ট লাগান। এতে জ্বালাপোড়া কমে এবং টুথপেস্টের অ্যালকালাইন উপাদান বিষের প্রভাবও অনেকটা নিষ্ক্রিয় করে দেয় বলে মনে করা হয়।
advertisement
5/6
মধু সংগ্রহকারীদের মধ্যে আরও একটি ঘরোয়া উপায় বেশ জনপ্রিয়—মধু লাগানো। স্থানীয়দের মতে, মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যথা কমানো ছাড়াও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মধু পাতলা করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে আরাম পাওয়া যায়।
মধু সংগ্রহকারীদের মধ্যে আরও একটি ঘরোয়া উপায় বেশ জনপ্রিয়—মধু লাগানো। স্থানীয়দের মতে, মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যথা কমানো ছাড়াও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মধু পাতলা করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে আরাম পাওয়া যায়।
advertisement
6/6
সবশেষে, মৌলদের অভিজ্ঞতা বলছে—বারবার বরফ ঘষে ঠান্ডা শেঁক দেওয়া, এরপর অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগানোই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। দৈনিক ঝুঁকির মধ্যে থেকেও তারা এই ঘরোয়া উপায়েই সামলে নেন মৌমাছি–বোলতার হুলের যন্ত্রণা। প্রজন্ম ধরে ব্যবহার হওয়া এই অভ্যাস এখনো সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারীদের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অস্ত্র।
সবশেষে, মৌলদের অভিজ্ঞতা বলছে—বারবার বরফ ঘষে ঠান্ডা শেঁক দেওয়া, এরপর অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগানোই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। দৈনিক ঝুঁকির মধ্যে থেকেও তারা এই ঘরোয়া উপায়েই সামলে নেন মৌমাছি–বোলতার হুলের যন্ত্রণা। প্রজন্ম ধরে ব্যবহার হওয়া এই অভ্যাস এখনো সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারীদের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অস্ত্র।
advertisement
advertisement
advertisement