উত্তরপ্রদেশের কনৌজের চিকিৎসক সিদ্ধার্থ জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তের রোগ। এটি দুই প্রকারের হতে পারে। যদি জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা উভয়ের জিনে থ্যালাসেমিয়া ‘মাইনর’ থাকে, তাহলে শিশুটির থ্যালাসেমিয়া ‘মেজর’ থাকতে পারে। এটি বেশ মারাত্মক হতে পারে। আবার বাবা বা মায়ের, যে কোনও একজনের থ্যালাসেমিয়া থাকলেও শিশুর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
রোগের লক্ষণ
থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। থ্যালাসেমিয়ার প্রধান উপসর্গ হতে পারে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, শারীরিক দুর্বলতা, মন খারাপ, বয়স অনুযায়ী শারীরিক বিকাশ না হওয়া, শরীরে হলুদ ভাব, দাঁত বের হয়ে আসা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি।
প্রতিরোধ—
নিজের যত্ন নেওয়া দরকার। এই রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত। গর্ভাবস্থায় রোগীর হিমোগ্লোবিন ১১-১২ বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।