

আধুনিক জীবন বড়োই দ্রুত। আর এই আধুনিক লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত জীবনে আকছার শরীরের নানা প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়। এদের মধ্যে একেবারে প্রথমেই বলা যায় আয়রন ঘাটতির কথা। আয়রনের ঘাটতিতে দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা একেবারে কমে যায়। কারণ আয়রন ছাড়া দেহে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না। আর হিমোগ্লোবিন তৈরি না হলে আমাদের দেহের বিভিন্ন কলা বা টিস্যু এবং পেশিতে অক্সিজেন পৌঁছয় না, এরা ঠিক ভাবে কাজও করতে পারে না। ফলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। সারাদিন ক্লান্ত-দুর্বল লাগে ৷ খালি খালি ঘুম পায় ৷


সাধারণত শৈশবে, ঋতুকালীন অবস্থায় অবং গর্ভাবস্থায় নারীদেহে আয়রনের ঘাটতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। শরীরে আয়রন ঘাটতি হলে কী কী উপসর্গ দেখা দেয়? ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা, চুল পড়া- এই সব আয়রন ঘাটতির খুব চেনা উপসর্গ। সম্প্রতি ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি দেহে আয়রন ঘাটতি কমানোর কিছু উপায় বাতলে দিয়েছে। মেনে চললে শুধু নারীরাই নন, পুরুষদেরও লাভ বই ক্ষতি নেই।


দেখে নেওয়া যাক কী বলছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি:১. আয়রন ফর্টিফায়েড স্টেপল এ ক্ষেত্রে বাদ দিলে চলবে না। ভাত, আটা, ময়দা আয়রন সমৃদ্ধ লবণ দিয়ে রান্না করা- এই সহজ পদ্ধতিই সাহায্য করবে আপনাকে।


২. খাবার আর চা বা কফি এক সঙ্গে পান না করা। কেন না, ক্যাফিন খাবারের আয়রনের পরিমাণ ধ্বংস করে দেয়।


৪. শরীরের আয়রন শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। ফল, সবুজ সব্জি, নানা রকমের বাদামে উদ্ভিজ আয়রন থাকে। ভিটামিন সি এই উদ্ভিজ আয়রন দেহে শোষণ করতে সাহায্য করে।