আমাদের রান্নাঘরে এমন বহু উপকরণই থাকে, যা ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত ভাল। এর মধ্যে অন্যতম হল তিল। ছোট্ট ছোট্ট এই বীজের আকারে দেখে অনেকেই বোঝেন না যে, এটি পুষ্টিগুণে ঠাসা। প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই তিল বীজ। দুই ধরনের তিল রয়েছে - সাদা এবং কালো। এই দুইই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ১৫% স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ৪১% পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ৩৯% মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: তিলের বীজ ভাল ফ্যাটের একটি চমৎকার উৎস। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম তিল। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, তিল বীজের মধ্যে থাকা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলকে অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক কমে। যদি টানা দুই মাস প্রতিদিন ৪০ গ্রাম করে তিল খাওয়া হয়, তাহলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে।
প্রদাহের জন্য উপকারী: ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিলের বীজ খুবই কার্যকরী। কারণ তিলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ধর্মী উপাদান। সেই কারণে প্রদাহ কমাতে সহায়ক তিল। এর পাশাপাশি এটি হার্ট এবং কিডনির রোগের ঝুঁকিও কমায়। ত্বকের জন্য উপকারী: ত্বকের জন্যও তিল অত্যন্ত উপকারী। এটি ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। যা চুল ও ত্বককে সুস্থ ও জেল্লাদার রাখতে সাহায্য করে। আর এই তিল বীজও ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সহায়ক।