আমাদের কাছে যা মাটির জালা বা কলসি, বাংলার বাইরে সেটাই মটকা বা মটকি৷ অতীতে গরমকালে মাটির কলসিই ছিল গরমকালের ভরসা৷ গরমে সুশীতল, সুমিষ্ট জলপানের জন্য মাটির কলসিই ছিল সাধারণ মানুষের ভরসা৷
2/ 7
এখন মাটির কলসির জায়গা নিয়েছে রেফ্রিজারেটর৷ কিন্তু মাটির কলসির জলপান শরীরের জন্য খুবই উপকারী৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার বার এই উপকারিতার কথা তুলে ধরেছেন৷
3/ 7
মাটির কলসিতে রাখা জল পান করলে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল সঞ্চিত হয়৷ তাছাড়া কলসির জল পান করলে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা কমে যায়৷ অত্যধিক গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে কলসি ও কুঁজোর জল৷ মাটির পাত্রের জল পান করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস৷
4/ 7
মানবদেহ সাধারণত আম্লিক৷ সেখানে মাটির পাত্রে আছে ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য৷ ফলে মাটির জালার জল পান করলে শরীরের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক থাকে৷ ফলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হয়৷
5/ 7
ঘরের তাপমাত্রায় জল সহজেই গরম হয়ে পড়ে৷ আবার ফ্রিজে রাখলে জল বরফঠান্ডা হয়ে যায়৷ সেদিক দিয়ে কলসির জল তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে৷ ফলে এই জল পান করলে গলার সংক্রমণ হয় না৷
6/ 7
গরমে পরিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখতে এবং মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হাইড্রেশন৷ তাই কলসির জল পান করে সেই ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন৷
7/ 7
প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখলে তাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশে যায়৷ ফলে সেই জল পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক৷ মাটির কলসির জল পান করলে সেই আশঙ্কা থাকে না৷ পরিপাক ক্রিয়ায় উন্নতির পাশাপাশি ওজন কমাতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে কার্যকর মাটির কলসির জল৷