সবজি বা ক্ষীর হিসেবে খান, নটে শাক হাড় মজবুত করবে, অন্ত্রও পরিষ্কার থাকবে, উপকারিতা অসাধারণ !
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
নটে শাক সম্পর্কে কয়েকটা কথা জেনে নেওয়া যাক। একে শীতকালে একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর।
আমার কথাটি ফুরাল, নটেগাছটি মুড়াল- বাংলার রূপকথা গল্প বলা শেষ করার অবিচ্ছেদ্য অংশ। গল্প শেষ হলে মন যা দুঃখ পায়, নটেগাছের মুড়ানো তা পুষিয়ে দেয়। এমনি এমনি নটে বাঙালির প্রিয় শাক নয়! তাছাড়া শীতকালে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খাওয়া হয়। সরষে, পালং, মেথির মতোই নটে শাকও সাধারণত শীতকালে খাওয়া হয়। এই সব শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এখানে এবার নটে শাক সম্পর্কে কয়েকটা কথা জেনে নেওয়া যাক। একে শীতকালে একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর।
advertisement
advertisement
বিশেষজ্ঞ ডা. রবি আর্য ব্যাখ্যা করেছেন যে, নটে ক্ষীর কেবল একটি ক্ষেত্রেই নয়, শরীরের অনেক কিছুর জন্যও উপকারী। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং দৃষ্টিশক্তির জন্যও উপকারী, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আরও অনেক উপকারিতা প্রদান করে। নটে শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এতে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। পাতে থাকলে তা শারীরিক দুর্বলতা দূর করে, পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
advertisement
এটি রক্তাল্পতা মোকাবিলায় সাহায্য করে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কারণ এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং ডায়াবেটিস-বিরোধী, সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এটি প্রাকৃতিক ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং এর ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
এটি চুল এবং ত্বক উভয়ের জন্যই উপকারী। এটি চুল পড়া এবং ধূসর হওয়া রোধ করতে, ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং দাগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন এ, সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইসিন এবং অন্যান্য খনিজ এটিকে ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ করে তোলে।এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কারণ এতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ইনসুলিন উৎপাদন বাড়াতে পারে এবং এর উচ্চ ফাইবারের কারণে গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করতে পারে, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে পারে।
advertisement