Food to control Blood Sugar: মেথি, বাদাম, গাজর-সহ ৫ খাবারের পঞ্চবাণে শায়েস্তা ব্লাড সুগার! শীতে খেতেই হবে, নইলে...
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Food to control Blood Sugar: শীতকালে এমন খাবার খাওয়ার সময় হওয়া উচিত যা শরীরকে শক্তিশালী করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
শীতকালে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এই ঋতুতে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের কার্যকারিতা ধীর হয়ে যায়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাছাড়া, ঠান্ডা আবহাওয়া শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস করে, যার ফলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। সুষম খাদ্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রিয়ার মতে, শীতকাল এমন খাবার খাওয়ার সময় হওয়া উচিত যা শরীরকে শক্তিশালী করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
advertisement
বার্লি শীতকালীন একটি সুপারফুড। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এর কম গ্লাইসেমিক সূচক নিশ্চিত করে যে এটি ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি ঘটে না। বার্লিতে থাকা ফাইবার এবং বিটা-গ্লুকান গ্লুকোজ নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত বার্লি স্যুপ বা পোরিজ খাওয়া উষ্ণতা প্রদান করে এবং শক্তির মাত্রা বজায় রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের শীতকালে বার্লি রুটি খাওয়া উচিত।
advertisement
শীতকালে পালং শাক একটি সহজলভ্য সবুজ শাক, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি আশীর্বাদ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রিয়া ব্যাখ্যা করেন যে পালং শাক ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পালং শাক তরকারি, স্যুপ বা সবজি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এটি কেবল শরীরের তাপ বজায় রাখে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
advertisement
গাজর শীতকালীন একটি জনপ্রিয় সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই সমস্ত উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া, গাজরের ফাইবার গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে দেয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা গাজর সেদ্ধ, রস করে অথবা হালকা সবজি হিসেবে খেতে পারেন।
advertisement
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রিয়া ব্যাখ্যা করেন যে মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত উপকারী। সকালে খালি পেটে ভেজানো মেথি বীজ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যায়। মেথি বীজে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কার্বোহাইড্রেটের হজমকে ধীর করে দেয়। তাছাড়া, মেথি পাতা শীতকালে উষ্ণতা প্রদান করে এবং হজমশক্তি শক্তিশালী করে।
advertisement
বাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এগুলি কেবল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে না বরং শক্তি বজায় রাখতেও সাহায্য করে। শীতকালে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি ভেজানো বাদাম খেলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে এবং শরীরকে শক্তি প্রদান করে।
advertisement
এই নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পাশাপাশি, ডায়াবেটিস রোগীদের শীতকালে ভাজা বা চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। পরিবর্তে, তাদের ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার বেছে নেওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে জল পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ঠান্ডা লাগার বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ঋতুতে ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
