Durga Puja Special: পুজোর মরশুমে নয়া উদ্যোগ; বাংলার শিল্প, ঐতিহ্য এবং উদ্দীপনার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এশিয়ান পেইন্টসের
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
বঙ্গের সংস্কৃতির প্রতি সংস্থার একটা গভীর উপলব্ধি রয়েছে। ফলে তারা দুর্গাপুজো উদযাপনের সৃজনশীল বিবর্তনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
বিগত প্রায় চার দশক ধরে কলকাতার দুর্গাপুজোর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এশিয়ান পেইন্টস। সৌজন্যে শারদ সম্মান। এশিয়ান পেইন্টস শুধুমাত্র বাংলার এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যে যোগদানই করে না, তার সঙ্গে ব্র্যান্ডের ‘ষোলো আনা বাঙালি’ অস্তিত্বটাকেও তুলে ধরে। বঙ্গের সংস্কৃতির প্রতি সংস্থার একটা গভীর উপলব্ধি রয়েছে। ফলে তারা দুর্গাপুজো উদযাপনের সৃজনশীল বিবর্তনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ফলে আরও একবার বাংলার মানুষের জন্য উষ্ণতায় ভরা এক উদ্যোগ নিয়ে এল এশিয়ান পেইন্টস।
advertisement
এবার বাংলার প্রাণবন্ত ঐতিহ্য এবং মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রথম বারের জন্য নিজেদের প্রিমিয়াম ইন্টেরিয়র পেইন্টের এক বিশেষ ফেস্টিভ প্যাক চালু করল তারা। নাম Royale Glitz Festive Pack। এখানেই শেষ নয়, কলকাতার ট্রামের ১৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপনের জন্য টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জগামী ট্রামকেও রঙিন করে তোলা হয়েছে।
advertisement
advertisement
এআর-এর শিল্পকর্মের মধ্যে স্থান পেয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, হাওড়া ব্রিজ, ইলিশ মাছ, বাঁকুড়ার বাড়ি, ছৌ নৃত্য, আলপনা এবং আরও নানা কিছু। এই উপলক্ষে এশিয়ান পেইন্টস লিমিটেড-এর সিইও এবং এমডি অমিত সিঙ্গেল জানান, “সেই ১৯৮৫ সাল থেকে ‘এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান’-এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজা উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে এশিয়ান পেইন্টস। এই বছর উৎসবের উদযাপনকে আমাদের সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাচ্ছি। যা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে। এর সঙ্গে টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জগামী ট্রামকে সম্পূর্ণ রূপে বদলে দেওয়ার উদ্যোগও গ্রহণ করেছি আমরা। আসলে সকলের জন্য শিল্প যাতে সহজলভ্য হয়ে ওঠে, সেটাতেই বিশ্বাস করি আমরা।”
advertisement
এই উদ্যোগ চালু করার বিষয়ে বাংলার প্রথম সারির অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজ্যের প্রাণবন্ত সংস্কৃতির প্রতি এশিয়ান পেইন্টসের গভীর অর্থপূর্ণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের বিষয়টাকে আমি সাধুবাদ জানাতে চাই। এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মানকে অনেক সময় ‘পুজোর অস্কার’ বলা হয়। আর আমার মনে এর এক বিশেষ স্থান রয়েছে। ২০১৫-১০১৮ সাল পর্যন্ত বিচারক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি আমি। সেই সময়ই দুর্গাপুজোয় তারা কেমন জাদু তৈরি করে, তার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এই উদযাপনে একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে।”
advertisement
এই বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকারও। তিনি বলেন, “ট্রিবিউট টু বেঙ্গল উদ্যোগের জন্য এশিয়ান পেইন্টসের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। আমায় বলতেই হচ্ছে যে, Royale Glitz-এর ফেস্টিভ প্যাকের জন্য অনন্য প্যাকেজিং ডিজাইনের পিছনে যে কনসেপ্ট রয়েছে, আমি তার প্রেমে পড়ে গিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এবং রাজ্যের প্রাণবন্ত সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।”