Atees Root Benefits: সর্দি-কাশির যম, পেটের রোগও পালায়...! সব ওষুধের 'বাবা' এই ভেষজ ফুলগাছ! জানেন?
- Published by:Tias Banerjee
- trending desk
Last Updated:
Atees flower Root Benefits: প্রাচীন কাল থেকেই অনেক রোগের চিকিৎসাতে আতিস ব্যবহারের চল রয়েছে। অ্যাকোনিটামের অনেকগুলো প্রজাতি। সেগুলির মধ্যে আতিসের ভেষজ গুণই সবচেয়ে বেশি।
advertisement
advertisement
advertisement
গাড়ওয়াল ইউনিভার্সিটির হাই পিক প্ল্যান্ট ফিজিওলজি রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ডঃ জয়দেব চৌহান লোকাল 18-কে বলেন, আতিস তুঙ্গনাথ, মানা বুগিয়াল, সুন্দর ধুঙ্গা, খাটলিং হিমবাহ এবং উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য উচ্চ হিমালয় অঞ্চলে জন্মায়। কিন্তু ইদানীং আতিসস তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে এর শিকড়। ফলে এই গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে।
advertisement
ডঃ জয়দেব চৌহান বলেন, আতিসের শিকড়ে অতিসিয়াম অ্যাকোনিক অ্যাসিড নামের এক ধরণের যৌগ পাওয়া যায়, যা ওষুধ কোম্পানিগুলি ব্যবহার করে। এই কারণেই পাহাড়ের কোল যথেচ্ছভাবে এই গাছ তোলা হচ্ছে। আতিস উদ্ভিদের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এর শিকড়ে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিহেলমিনথিক গুণ রয়েছে, যা পেটের কৃমি সারাতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্টের জন্যও এর পরিচিতি রয়েছে।
advertisement
একাধিক গবেষণায় আতিসের মধ্যে অ্যান্টিপ্লাজমোডিয়াল বৈশিষ্টও পাওয়া গিয়েছে। এই কারণে এটি ম্যালেরিয়ার চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর শরীরে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যায়। আতিসের অ্যান্টিপ্লাজমোডিয়াল বৈশিষ্ট এই সংখ্যা হ্রাসে বাধা দেয়। ডঃ জয়দেব চৌহান জানান, গবেষণায় তুঙ্গনাথ, মানা বুগিয়ালে পাওয়া অ্যাটিসে টিউসিনামিল নামের এক ধরণের যৌগের হদিশ মিলেছে। এই যৌগ অ্যান্টিপ্লাজমোডিয়াল বৈশিষ্টে সমৃদ্ধ। যা ম্যালেরিয়া রোগীদের জন্য উপকারী।
advertisement
এছাড়াও আতিসের মূল পাচনতন্ত্রের সমস্যায় উপকারী। এর জ্বরনাশক গুণও রয়েছে। সর্দি ও কাশিতে আতিস চূর্ণ মধুর সঙ্গে সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর শিকড় শুঁকলে গুরুতর মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনে আরাম মেলে। এর বীজ পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গলার সংক্রমণ এবং টন সিলাইটিসে উপশম হয়। একই সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়।