উৎসব হোক নিরাপদ, বিপদ থেকে বাঁচতে রাতে বাজি পোড়ানোর সময়ে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
রোশনাই ভরা আতসবাজি এমন আঘাত করতে পারে যা কখনও নিরাময় হবে না। শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি, যে কোনও আতসবাজি শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ।
advertisement
কিন্তু বাস্তবটা শুধুই এমন মৌতাতে মজে থাকার মতো নয়। বাস্তব বলছে দীপাবলির আনন্দ হাজার হাজার মানুষকে হাসপাতালে যেতে বাধ্য করে। রোশনাই ভরা আতসবাজি এমন আঘাত করতে পারে যা কখনও নিরাময় হবে না। শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি, যে কোনও আতসবাজি শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। তবু প্রথা মানতে চান অনেকেই। সে ক্ষেত্রে খানিকটা স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ, পরিবেশ সচেতন ভাবে দীপাবলি পালন করাই যায়।
advertisement
কী ভাবে? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে— বাজিতে সতর্কতা ১. সমস্ত আতসবাজি একটি নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখাই ভাল। ২. আতসবাজি পোড়ানোর সময় এক হাত দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অন্যরা যেন কমপক্ষে পাঁচ মিটার দূরে থাকেন। ৩. বাজি ফাটানোর সময় শিশুদের সঙ্গে অবশ্যই কোনও দায়িত্বশীল অভিভাবককে থাকতে হবে।
advertisement
advertisement
advertisement
অগ্নি নিরাপত্তা ১. প্রদীপ বা মোমবাতি যেন ঘরের ভিতর পর্দা বা অন্য দাহ্য বস্তু থেকে দূরে থাকে। ২. বৈদ্যুতিক তারের কাছে প্রদীপ মোমবাতি দেওয়া যাবে না। ৩. মাটিতে বা সমতল পৃষ্ঠে বাতি রাখতে হবে, যেন উল্টে না যায়। ৪. শিশু এবং পোষ্যকে দূরে রাখতে হবে। ৫. দরজায় প্রদীপ দিলে শিশুদের যাতায়াতে অসুবিধা হতে পারে, বিপদ ঘটতে পারে, সাবধান!
advertisement
নিজস্ব আচরণ বিধি ১. সিন্থেটিক পোশাক পরা যাবে না। সুতি বেছে নিতে হবে। ২. দোপাট্টা এবং শাড়ির আঁচল সামলে রাখা জরুরি। ৩. ছোটদের আঁটসাঁট সুতির পোশাক পরানো দরকার। ৪. বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকতে হবে। ৫. ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দূষণ এড়িয়ে চলতে হবে। ৬. শব্দ রোধে ইয়ার প্লাগ পরা যেতে পারে। ৭. খাবার ঢেকে রাখা দরকার। ৮. বাইরের খাবার না খাওয়াই ভাল।