গবেষণায় দেখা যায়, প্রাণীদেহ থেকে বের হওয়া কার্বনডাই অক্সাইড, গন্ধ ও তাপমাত্রা মশাকে মানুষ নাকি অন্য কোনো প্রাণী, তা শনাক্তে সহায়তা করে। শুধুমাত্র স্ত্রী মশাই প্রাণীদেহ থেকে রক্ত খেয়ে থাকে। আর এ রক্ত বংশবিস্তারের জন্য ডিম তৈরিতে প্রোটিনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। পুরুষ মশারা মানুষকে কামড়ায় না, শুধু উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে রস সংগ্রহ করে। কিন্ত এই মশার কি কোনো উপকারিতা আছে?
মশা পৃথিবীর খাদ্য-শৃঙ্খলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। প্রায় ৩৪০০ প্রজাতির মশা কোনো ক্ষতি করে না। কিছু মাকড়সা, টিকটিকি, গিরগিটি, ব্যাঙ এদের মুখ্য খাদ্য এই মশা। এছাড়া মশার ডিম মাছেরা খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। তাই মাছের খাদ্য চাহিদা মেটাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে মশা। যখন মশা উড়ন্ত অবস্থায় থাকে তখন ড্রাগন-ফ্লাই, ছোট ছোট পাখি ও কীটপতঙ্গ মশাকে খেয়ে জীবনধারণ করে।