Asthma And COPD In Winter: শীতে বাড়ে হাঁপানি বা COPD, সহজ কয়েকটা নিয়মেই শ্বাসকষ্ট দূর হবে, ফুসফুস থাকবে চাঙ্গা, যা জানালেন চিকিৎসক

Last Updated:
হাঁপানি বা সিওপিডির রোগীরা কীভাবে শীতকালে শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচবেন? কীভাবে ফুসফুস চাঙ্গা রাখবেন? জানালেন চিকিৎসক--
1/6
শীতকালে হাঁপানি বা সিওপিডির রোগীদের খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা হাওয়া, শুষ্ক বাতাস এবং বাড়তে থাকা দূষণ শ্বাসনালিকে উত্যক্ত করে, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ফ্লেয়ার-আপের মাত্রা বেড়ে যায়। ঠান্ডা বাড়লেই হাঁপানির টান ওঠে, রাতে শুলে শ্বাসকষ্ট হয়। যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁরাও শীতকালে শ্বাসকষ্টে ভোগেন। ক্রমাগত হাঁচি বা কাশির পরেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হাঁপানি বা সিওপিডির রোগীরা কীভাবে শীতকালে শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচবেন? কীভাবে ফুসফুস চাঙ্গা রাখবেন? জানালেন চিকিৎসক--
শীতকালে হাঁপানি বা সিওপিডির রোগীদের খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা হাওয়া, শুষ্ক বাতাস এবং বাড়তে থাকা দূষণ শ্বাসনালিকে উত্যক্ত করে, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ফ্লেয়ার-আপের মাত্রা বেড়ে যায়। ঠান্ডা বাড়লেই হাঁপানির টান ওঠে, রাতে শুলে শ্বাসকষ্ট হয়। যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁরাও শীতকালে শ্বাসকষ্টে ভোগেন। ক্রমাগত হাঁচি বা কাশির পরেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হাঁপানি বা সিওপিডির রোগীরা কীভাবে শীতকালে শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচবেন? কীভাবে ফুসফুস চাঙ্গা রাখবেন? জানালেন চিকিৎসক--
advertisement
2/6
প্র্যাক্টো-র চিকিৎসক ডাঃ মনোজ এজি-র কথায়, “ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালিকে সংকুচিত করে দেয় এবং শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়ায়। অন্যদিকে শীতে দূষণ ও ধোঁয়া ফুসফুসকে আরও বেশি উত্যক্ত  করে।” হাঁপানি ও সিওপিডি রোগীদের ক্ষেত্রে এই সবকিছুর মিলিত প্রভাব ফ্লেয়ার-আপ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। প্র্যাক্টো-র আর এক চিকিৎসক ডাঃ লীলা মোহন পিভিআর বলেন, “ঠান্ডা বাতাস ব্রঙ্কিয়াল ইরিট্যান্ট হিসেবে কাজ করে, শ্বাসনালিকে সংকুচিত করে এবং কাশি, হাঁপানির শব্দ (হুইজিং) ও শ্বাসকষ্টকে উদ্দীপিত করে।”
প্র্যাক্টো-র চিকিৎসক ডাঃ মনোজ এজি-র কথায়, “ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালিকে সংকুচিত করে দেয় এবং শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়ায়। অন্যদিকে শীতে দূষণ ও ধোঁয়া ফুসফুসকে আরও বেশি উত্যক্ত করে।” হাঁপানি ও সিওপিডি রোগীদের ক্ষেত্রে এই সবকিছুর মিলিত প্রভাব ফ্লেয়ার-আপ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।প্র্যাক্টো-র আর এক চিকিৎসক ডাঃ লীলা মোহন পিভিআর বলেন, “ঠান্ডা বাতাস ব্রঙ্কিয়াল ইরিট্যান্ট হিসেবে কাজ করে, শ্বাসনালিকে সংকুচিত করে এবং কাশি, হাঁপানির শব্দ (হুইজিং) ও শ্বাসকষ্টকে উদ্দীপিত করে।”
advertisement
3/6
ডাঃ মনোজ বলেন, যাঁরা হাঁপানি বা সিওপিডি-তে ভুগছেন, তাঁরা ঠান্ডা বা দূষিত পরিবেশে বেশি সময় কাটাবেন না। স্কার্ফ বা N95 মাস্ক ব্যবহার করুন, এতে নিঃশ্বাসের বাতাস উষ্ণ ও ফিলটারড থাকে।
ডাঃ মনোজ বলেন, যাঁরা হাঁপানি বা সিওপিডি-তে ভুগছেন, তাঁরা ঠান্ডা বা দূষিত পরিবেশে বেশি সময় কাটাবেন না। স্কার্ফ বা N95 মাস্ক ব্যবহার করুন, এতে নিঃশ্বাসের বাতাস উষ্ণ ও ফিলটারড থাকে।
advertisement
4/6
ডাঃ লীলা বলছেন, ভোরবেলা বা গভীর রাতে হাঁটাহাঁটি এড়িয়ে চলুন, কারণ এই সময়ে দূষণ, কুয়াশা ও স্মগের মাত্রা বেশি থাকে। তিনি বলেন, “স্কার্ফ বা মাস্ক ব্যবহারে ফুসফুসে ঢোকার আগে বাতাস উষ্ণ ও আর্দ্র হয়,” মিয়মিত বায়ুর মান সংক্রান্ত রিপোর্ট নজরে রাখুন। যে'সময় দূষণের মাত্রা কম থাকে, সেই সময় বাড়ির বাইরে বার হন।
ডাঃ লীলা বলছেন, ভোরবেলা বা গভীর রাতে হাঁটাহাঁটি এড়িয়ে চলুন, কারণ এই সময়ে দূষণ, কুয়াশা ও স্মগের মাত্রা বেশি থাকে। তিনি বলেন, “স্কার্ফ বা মাস্ক ব্যবহারে ফুসফুসে ঢোকার আগে বাতাস উষ্ণ ও আর্দ্র হয়,” মিয়মিত বায়ুর মান সংক্রান্ত রিপোর্ট নজরে রাখুন। যে'সময় দূষণের মাত্রা কম থাকে, সেই সময় বাড়ির বাইরে বার হন।
advertisement
5/6
শীতে ঘরের জানালা খুলে ও এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করে ঘরের বাতাস চলাচল বাড়ান। ঘরের ভিতরে ধূমপান একেবারেই নয়! পর্দা, বিছানা, তাক, ও আসবাবের মতো জায়গা,যেখানে ধুলো জমে,সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এতে অ্যালার্জেন কমে।
শীতে ঘরের জানালা খুলে ও এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করে ঘরের বাতাস চলাচল বাড়ান। ঘরের ভিতরে ধূমপান একেবারেই নয়! পর্দা, বিছানা, তাক, ও আসবাবের মতো জায়গা,যেখানে ধুলো জমে,সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এতে অ্যালার্জেন কমে।
advertisement
6/6
ডাঃ লীলা বলেন,  শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত জলপান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং হালকা ঘরোয়া ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, হিটার, হিউমিডিফায়ার এবং এয়ার পিউরিফায়ার নিয়মিত সার্ভিস করালে ধুলো, ধোঁয়া ও ফাঙ্গাস ঘরের ভিতর ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
ডাঃ লীলা বলেন, শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত জলপান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং হালকা ঘরোয়া ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, হিটার, হিউমিডিফায়ার এবং এয়ার পিউরিফায়ার নিয়মিত সার্ভিস করালে ধুলো, ধোঁয়া ও ফাঙ্গাস ঘরের ভিতর ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
advertisement
advertisement
advertisement