প্রত্যেক মহিলাই জীবনের কোনও না কোনও সময়ে অর্গ্যাজমে পৌঁছতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন৷ বলা ভাল, যৌনতার তুঙ্গ সুখে পৌঁছতে পারেননি৷ হতে পারে এই অবস্থার কারণ অ্যানরগ্যাসমিয়া (Anorgasmia)৷ বলছেন সেক্সোলজিস্ট সারাংশ জৈন৷
2/ 7
সেক্সুয়াল স্টিমুলেশনের সময় তীব্র অনুভূতিকে বলা হয় অর্গ্যাজম৷ তীব্রতা, স্থায়িত্ব ও পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে এই অনুভূতি ব্যক্তিবিশেষে পরিবর্তিত হতে পারে৷ পর্যাপ্ত সেক্সুয়াল স্টিমুলেশন সত্ত্বেও অর্গ্যাজমে পৌঁছতে না পারাই হল অ্যানরগ্যাসমিয়া৷
3/ 7
একাধিক কারণে অ্যানরগ্যাসমিয়া হতে পারে৷ কারণের উপর নির্ভর করেই চলে এর চিকিৎসা৷ তবে গবেষণায় প্রমাণ, এই সমস্যা থাকলেও বহু মহিলাই যৌনজীবনে সক্ষম ও সফল৷
4/ 7
অ্যানরগ্যাসমিয়ার একাধিক উপসর্গ আছে৷ মূল উপসর্গ হল সেক্সুয়াল ক্লাইম্যাক্সের শীর্ষে পৌঁছতে না পারা৷ সেইসঙ্গে অতৃপ্ত অর্গ্যাজম, ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছনর জন্য বেশি সময়যাপনের মতো উপসর্গও থাকে৷ অ্যানরগ্যাসমিয়া থাকলে হস্তমৈথুনের সময়েও কোনও মহিলার অর্গ্যাজমপ্রাপ্তিতে সমস্যা হতে পারে৷
5/ 7
উপসর্গের তীব্রতা অনুযায়ী একে চারভাগে ভাগ করেন চিকিৎসকরা৷ প্রাইমারি অ্যানরগ্যাসমিয়া, সেকেন্ডারি অ্যানরগ্যাসমিয়া, সিচুয়েশনাল অ্যানরগ্যাসমিয়া এবং জেনারেল অ্যানরগ্যাসমিয়া৷
6/ 7
শারীরিক ও মানসিক, দু’রকম কারণের জন্যই অ্যানরগ্যাসমিয়া হতে পারে৷ কী কারণে হচ্ছে, সেটা জানার জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে৷ তিনি সমস্যার কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করবেন৷
7/ 7
একজন সেক্সুাল থেরাপিস্ট এই সমস্যার সমাধান করেন৷ রোগের কারণ বুঝে জীবনযাপন ও যৌনতায় পরিবর্তন, উদ্বেগ ও দু্শ্চিন্তা প্রশমন, কাউন্সেলিং, হরমোন থেরাপি-সহ একাধিক ভাবে এই রোগের চিকিৎসা করতে পারেন৷