সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও এই '৭টি' রান্নার তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না…শরীরে ঢুকে যাবে 'বিষ'! কেন জানেন?

Last Updated:
রান্না করতে গেলে তেল দরকার পড়েই। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রান্নার তেল পাওয়া যায়। প্রত্যেকটির নিজস্ব কিছু গুণাগুণ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে কিছু নির্দিষ্ট তেল রান্নার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। কী সেই তেলগুলি এবং কেন সেগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়, তা দেখে নেওয়া যাক।
1/9
রান্না করতে গেলে তেল দরকার পড়েই। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রান্নার তেল পাওয়া যায়। প্রত্যেকটির নিজস্ব কিছু গুণাগুণ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে কিছু নির্দিষ্ট তেল রান্নার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। কী সেই তেলগুলি এবং কেন সেগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়, তা দেখে নেওয়া যাক।
রান্না করতে গেলে তেল দরকার পড়েই। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রান্নার তেল পাওয়া যায়। প্রত্যেকটির নিজস্ব কিছু গুণাগুণ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে কিছু নির্দিষ্ট তেল রান্নার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। কী সেই তেলগুলি এবং কেন সেগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়, তা দেখে নেওয়া যাক। (Representative Image: AI) 
advertisement
2/9
১. পরিশোধিত সূর্যমুখী তেল (Refined Sunflower Oil)হাই-ওলিক সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যকর হলেও, সাধারণ পরিশোধিত তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে। এটি উচ্চ তাপে গরম করলে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। অতিরিক্ত গরমে এই ফ্যাটগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে তৈরি করে টক্সিক অ্যালডিহাইড এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যাল, যা ক্যান্সার ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
১. পরিশোধিত সূর্যমুখী তেল (Refined Sunflower Oil) হাই-ওলিক সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যকর হলেও, সাধারণ পরিশোধিত তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে। এটি উচ্চ তাপে গরম করলে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। অতিরিক্ত গরমে এই ফ্যাটগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে তৈরি করে টক্সিক অ্যালডিহাইড এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যাল, যা ক্যান্সার ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। (Representative Image: AI) 
advertisement
3/9
২. সয়াবিন তেল (Soybean Oil)এই তেল প্রক্রিয়াকরণে উচ্চ তাপমাত্রা ও হেক্সেন (এক ধরনের পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক দ্রাবক) ব্যবহার করা হয়। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এটি জেনেটিকালি পরিবর্তিতও হতে পারে। এই তেলেও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত গরম করলে এতে ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হতে পারে।
২. সয়াবিন তেল (Soybean Oil) এই তেল প্রক্রিয়াকরণে উচ্চ তাপমাত্রা ও হেক্সেন (এক ধরনের পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক দ্রাবক) ব্যবহার করা হয়। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এটি জেনেটিকালি পরিবর্তিতও হতে পারে। এই তেলেও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত গরম করলে এতে ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হতে পারে। (Representative Image: AI) 
advertisement
4/9
৩. ক্যানোলা তেল (Canola Oil)এটি রেপসিড তেল নামেও পরিচিত। এটি অত্যন্ত পরিশোধিত এবং জেনেটিকালি পরিবর্তিত হয়। এটি উচ্চ তাপে ও হেক্সেন জাতীয় কেমিক্যাল দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এতে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এই তেলেও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত হলে শরীরে প্রদাহ ও অন্যান্য সমস্যা তৈরি করে।
৩. ক্যানোলা তেল (Canola Oil) এটি রেপসিড তেল নামেও পরিচিত। এটি অত্যন্ত পরিশোধিত এবং জেনেটিকালি পরিবর্তিত হয়। এটি উচ্চ তাপে ও হেক্সেন জাতীয় কেমিক্যাল দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এতে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এই তেলেও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত হলে শরীরে প্রদাহ ও অন্যান্য সমস্যা তৈরি করে। (Representative Image: AI) 
advertisement
5/9
৪. তুলসির (কটনসিড) তেল (Cottonseed Oil)এই তেল রান্নায় ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। তুলোর বীজ থেকে তৈরি এই তেল উচ্চমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত। এতে 'গসিপল' নামে একটি প্রাকৃতিক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা প্রজননক্ষমতা ও যকৃতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
৪. তুলসির (কটনসিড) তেল (Cottonseed Oil) এই তেল রান্নায় ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। তুলোর বীজ থেকে তৈরি এই তেল উচ্চমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত। এতে 'গসিপল' নামে একটি প্রাকৃতিক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা প্রজননক্ষমতা ও যকৃতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। (Representative Image: AI) 
advertisement
6/9
৫. ভুট্টার তেল (Corn Oil)এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যদি ওমেগা-৩-এর সঙ্গে ব্যালান্স করে না খাওয়া হয়, তাহলে শরীরে কোষের প্রদাহ দেখা দেয়। যা হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এটি হেক্সেন দিয়ে তৈরি হয় এবং ব্লিচিং ও ডিওডোরাইজেশনের সময় এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় ও ক্ষতিকর যৌগ যুক্ত হয়।
৫. ভুট্টার তেল (Corn Oil) এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যদি ওমেগা-৩-এর সঙ্গে ব্যালান্স করে না খাওয়া হয়, তাহলে শরীরে কোষের প্রদাহ দেখা দেয়। যা হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এটি হেক্সেন দিয়ে তৈরি হয় এবং ব্লিচিং ও ডিওডোরাইজেশনের সময় এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় ও ক্ষতিকর যৌগ যুক্ত হয়। (Representative Image: AI) 
advertisement
7/9
৬. উদ্ভিজ্জ তেল (Vegetable Oil)এই তেল সাধারণত সয়াবিন, ভুট্টা, সূর্যমুখী, ক্যানোলা, তুলো প্রভৃতি থেকে তৈরি হয় এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত। এতে ট্রান্স ফ্যাট ও প্রদাহ সৃষ্টিকারী যৌগ তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গরম করলে এতে অ্যালডিহাইড, ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ইত্যাদি টক্সিন তৈরি হয়, যা ডিএনএ-কে ক্ষতি করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. উদ্ভিজ্জ তেল (Vegetable Oil) এই তেল সাধারণত সয়াবিন, ভুট্টা, সূর্যমুখী, ক্যানোলা, তুলো প্রভৃতি থেকে তৈরি হয় এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত। এতে ট্রান্স ফ্যাট ও প্রদাহ সৃষ্টিকারী যৌগ তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গরম করলে এতে অ্যালডিহাইড, ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ইত্যাদি টক্সিন তৈরি হয়, যা ডিএনএ-কে ক্ষতি করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। (Representative Image: AI) 
advertisement
8/9
৭. স্যাফফ্লাওয়ার তেল (Safflower Oil)এই তেলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা রান্নার সময় ভেঙে ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যালে পরিণত হয়। এছাড়াও এতে থাকা ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড (যেমন লিনোলিক অ্যাসিড) হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. স্যাফফ্লাওয়ার তেল (Safflower Oil) এই তেলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা রান্নার সময় ভেঙে ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যালে পরিণত হয়। এছাড়াও এতে থাকা ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড (যেমন লিনোলিক অ্যাসিড) হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। (Representative Image: AI) 
advertisement
9/9
বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন,“আমাদের দেশের মানুষ এখনো অনেকাংশে তেলের ব্যাপারে সচেতন নন। রান্নার জন্য ব্যবহৃত কিছু তেল যেমন সূর্যমুখী, সোয়াবিন, ক্যানোলা বা কর্ন অয়েল অতিরিক্ত পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ধারণ করে। এটি শরীরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে এসব তেল উচ্চ তাপে গরম করলে তার মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট, ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এবং অ্যালডিহাইড তৈরি হয়—যা কোষের DNA পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আমি সবসময় রোগীদের পরামর্শ দিই, রান্নায় ঘি, সরিষার তেল বা নারকেল তেলের মতো প্রাকৃতিক ও স্থিতিশীল তেল ব্যবহার করতে।”
বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের দেশের মানুষ এখনো অনেকাংশে তেলের ব্যাপারে সচেতন নন। রান্নার জন্য ব্যবহৃত কিছু তেল যেমন সূর্যমুখী, সোয়াবিন, ক্যানোলা বা কর্ন অয়েল অতিরিক্ত পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ধারণ করে। এটি শরীরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে এসব তেল উচ্চ তাপে গরম করলে তার মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট, ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এবং অ্যালডিহাইড তৈরি হয়—যা কোষের DNA পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আমি সবসময় রোগীদের পরামর্শ দিই, রান্নায় ঘি, সরিষার তেল বা নারকেল তেলের মতো প্রাকৃতিক ও স্থিতিশীল তেল ব্যবহার করতে।”
advertisement
advertisement
advertisement