গোখরো সাপ বিষ ঢালে ত্বকের নীচেই, তবু কারা কারা বেঁচে যান...? ‘ড্রাই বাইট’-এর রহস্য জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Snake Dry Bite: সব সাপের কামড়েই মৃত্যু হয় না! বাঁচিয়ে দেয় ড্রাই বাইট। জানুন এর পেছনের রহস্য। কারা কারা বেঁচে যান, কালাচ, গোখরো বা কোবরার ছোবলেও?
রাস্তাঘাটে, গ্রামের মেঠোপথে কিংবা ঘরের কোণে হঠাৎ দেখা যায় একফোঁড়ালো চোখ, ফনা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রাণী—কোবরা বা গোখরো! বিষধর এই সাপের নাম শুনলেই শরীর কেঁপে ওঠে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল, কোবরা কামড়ালেও অনেক সময় মানুষ বেঁচে যান! বিষধর সাপ কামড়াল, তাও মৃত্যু হয়নি—এও কি সম্ভব?
advertisement
কোবরা একটি বিষধর সাপ। দেশজুড়ে এটির কামড়ের বহু ঘটনা সামনে আসে। তবে অনেক সময় এমনও দেখা যায়, কোবরা কামড়ালেও ব্যক্তি মারা যান না। কিন্তু কেন? এর পেছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা— ড্রাই বাইট।
advertisement
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে সাপের কামড়ে মৃতদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মৃত্যুই কোবরা সাপের জন্য ঘটে। অর্থাৎ প্রায় ৬ হাজার মানুষ প্রতিবছর কোবরা কামড়ে প্রাণ হারান। তবে অন্যান্য বিষধর সাপের তুলনায় কোবরার কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোবরার বিষ মূলত নিউরোটক্সিক, যা সময়মতো অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করলে নিরাময়যোগ্য। প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কোবরা কামড়ে ড্রাই বাইট ঘটে। অর্থাৎ সাপ কামড়ায়, দাগ পড়ে, ফোলাভাব ও বমি হতে পারে, কিন্তু বিষ ঢালে না। কারণ, কোবরা অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবেই বিষ না ঢেলে কামড়ায়।
advertisement
প্রতিবেদন বলছে, কোবরার বিষ থলি বা ভেনম স্যাক-এ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বিষ মজুত থাকে। একটি কামড়ে কোবরা প্রায় ৭ মিলিলিটার পর্যন্ত বিষ ঢালতে পারে। এই বিষ যদি কারও শরীরে পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাঁকে বাঁচানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
advertisement
কিন্তু সাপের বিষ একবার ব্যবহার হলে তা পুনর্গঠন হতে ৬-৭ দিন সময় লাগে। ফলে এই সময়কালে আবার কাউকে কামড়ালে, কোবরা শরীর থেকে বিষ ছাড়তে পারে না। এমন অবস্থাতেই ড্রাই বাইট হয়।
advertisement
কতবার ড্রাই বাইট করতে পারে কোবরা? একটি কোবরা সারা জীবনে ৪-৫ বার ড্রাই বাইট করতে পারে। তবে ড্রাই বাইট হলেও, ত্বকে ফোলাভাব, বমি, এমনকি *টেটানাস*-এর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
advertisement