Healthy Lifestyle: সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার অভ্যাস হঠাৎ বন্ধ করে দিলে কী কী সমস্যা হয়? জানুন বিশেষজ্ঞের মত

স্বাস্থ্যকর যৌনতা দুই সঙ্গীর মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করে৷ উপভোগ, আনন্দের পাশাপাশি শারীরিক মিলনের অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক গুণও আছে৷ এর ফলে হ্যাপি হরমোন ডোপামাইন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের মন ভাল রাখে৷ বিশেষজ্ঞ সারাংশ জৈনের মতে, হঠাৎ করে যদি শারীরিক মিলন বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কী কী সমস্যা হতে পারে, দেখা যাক৷

উদ্বেগ বা স্ট্রেস কমিয়ে দেয় শারীরিক সম্পর্ক৷ ডোপামাইন, সেরোটোনিনের মতো হরমোন ক্ষরণের ফলে ভাললাগার অনুভূতি ছেয়ে যায় মনে৷ অর্গ্যাজমের সময় অক্সিটোসিন ক্ষরণ হয়৷ যা মনের স্বাস্থ্যের উপর সুপ্রভাব ফেলে৷ শারীরিক মিলন বন্ধ হয়ে গেলে এই ভাল লাগার অনুভূতির অভাবে জীবন অনেক বেশি উদ্বেগময় হয়ে ওঠে৷

সঙ্গমের সময় শরীরে ইমিউনোগ্লোবুলিন এ ক্ষরিত হয়৷ যা আমাদের সাহায্য করে জীবাণুদের সঙ্গে যুঝতে৷ সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷ সঙ্গম না হলে অনাক্রম্যতা কমে গিয়ে আমরা সহজেই সর্দিকাশি, ফ্লুয়ের মতো মরশুমি অসুখের শিকার হয়ে পড়ি৷

সঙ্গমের ফলে প্রোল্যাক্টিন, অক্সিটোসিনের মতো হরমোন ক্ষরণ হয়৷ যা সুনিদ্রায় সহায়ক৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে বেড়ে যায় ইস্ট্রোজেন হরমোন৷ সঙ্গমের অভ্যাস চলে গেলে আপনি অনিদ্রার কোপে পড়তে পারেন৷

সঙ্গমের অভ্যাস অবলুপ্ত হলে কমে যেতে পারে আপনার সেক্স ড্রাইভ বা যৌনতার ইচ্ছে৷ বলা হয়, সঙ্গমের অভাবে পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসারও হতে পারে৷ কারণ গবেষণা বলছে, যে পুরুষরা মাসে ৭ বারের কম ইজ্যাকুলেট করেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি৷

শারীরিক সম্পর্কের ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে৷ সার্বিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা আরও দ্রুত হয়৷ মনঃসংযোগ, সৃষ্টিশীলতা, কাজের পরিমাণ-সহ একাধিক জিনিসে সাহায্য করে সঙ্গম৷ কিছু ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তিও তীক্ষ্ণ হয় সম্ভোগের ফলে৷

সঙ্গমের অভ্যাস থেকে বিচ্যুত হলে মহিলাদের কাছে যৌন সম্পর্ক যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেকটাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে৷

শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে আপনার শারীরিক ও মানসিক সম্পর্কে৷ বিশেষজ্ঞের মত, দাম্পত্যে একটা নির্দিষ্ট সময় অবধি শারীরিক মিলন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া সুস্থতার পরিচায়ক নয়৷ প্রয়োজনে সেক্স থেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে সম্পর্কে যৌনতা ফিরিয়ে আনা দরকার৷