Walking Benefits: ফিট থাকতে জিমে সময় নষ্ট নয়! হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চমকে দেবে

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শৈলেশ সিং-এর সাম্প্রতিক একটি পোস্ট অনলাইনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। X-এ একটি সংক্ষিপ্ত নোটে তিনি দৈনিক ২০ মিনিটের সাধারণ হাঁটার সঙ্গে ১০ লাখ টাকার হোম জিমের তুলনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনটি আসলে হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী। তাঁর উত্তর সহজ- জিমের সরঞ্জামের খরচ নয় বরং চলাচলের ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা কেন হাঁটার পরামর্শ দেনডাক্তার বলেন যে, হাঁটা হৃদরোগের সুস্থতায় সবচেয়ে সহজ এবং টেকসই উপায়গুলির মধ্যে একটি। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে, যা সবই হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি শারীরিক কার্যকলাপের টার্গেট রাখা উচিত। হাঁটা সেই রুটিনের সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খায়। জিমের বিশেষ সরঞ্জাম বা সদস্যপদের প্রয়োজন নেই, কেবল আরামদায়ক জুতো এবং একটি নিরাপদ রুট প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা আরও লক্ষ্য করেছেন যে হাঁটা সকল বয়সের জন্য উপযুক্ত। এটি শরীরের উপর চাপ না ফেলে রক্ত সঞ্চালন এবং অক্সিজেন প্রবাহ উন্নত করে।

কেন জিম সবসময় কাজে আসে নাচিকিৎসক সতর্ক করে দিয়েছেন যে, হঠাৎ অনিয়মিত বা উচ্চ-তীব্রতার ওয়ার্কআউট হৃদপিণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়মিত ব্যায়ামে অভ্যস্ত নন। কোনও নতুন রুটিন শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞরা হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দেন।

জিম কেবল তখনই সাহায্য করে যখন ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই বলেন, সপ্তাহে একবার করা তীব্র ওয়ার্কআউটের চেয়ে প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটা ভাল।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত হাঁটা:- রক্ত সঞ্চালন এবং অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে- LDL (খারাপ) কোলেস্টেরল কমায় এবং HDL (ভাল) কোলেস্টেরল বাড়ায়- টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়- মানসিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে এবং চাপের মাত্রা কমায়

ডা. শৈলেশ সিংয়ের বার্তা স্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত। ট্রেডমিল থাকলেও প্রতিদিন হাঁটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ২০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে, শক্তি বাড়াতে পারে এবং মেজাজ উন্নত করতে পারে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)