Supreme Court: 'অপরাধের তকমামুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে', মানহানি নিয়ে বিরাট রায় সুপ্রিম কোর্টের! ফয়সালা হবে বহু মামলার?

Last Updated:
Supreme Court: সোমবার সুপ্রিম কোর্টের উল্লেখিত বিচারকদের বেঞ্চ মন্তব্য করে জানায় যে, “মনে হয়, এবার এই সমস্ত মামলাকে অপরাধের তকমামুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। আর কত দিন এটাকে এ ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে?”
1/6
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছে, মানহানিকে অপরাধের তকমামুক্ত করার সময় এসেছে। এমনই বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অমৃতা সিংয়ের করা এক মানহানির মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছে, মানহানিকে অপরাধের তকমামুক্ত করার সময় এসেছে। এমনই বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অমৃতা সিংয়ের করা এক মানহানির মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ।
advertisement
2/6
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের উল্লেখিত বিচারকদের বেঞ্চ মন্তব্য করে জানায় যে, “মনে হয়, এবার এই সমস্ত মামলাকে অপরাধের তকমামুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। আর কত দিন এটাকে এ ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে?”
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের উল্লেখিত বিচারকদের বেঞ্চ মন্তব্য করে জানায় যে, “মনে হয়, এবার এই সমস্ত মামলাকে অপরাধের তকমামুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। আর কত দিন এটাকে এ ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে?”
advertisement
3/6
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষুব্ধ হন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অমৃতা সিং। তাঁর দাবি, ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, তাঁর নেতৃত্বে জেএনইউ-র এক দল শিক্ষক-শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ২০০ পাতার একটি নথি তৈরি করেন। সেই নথিতে নানা আপত্তিকর মন্তব্য লেখা ছিল এবং পরে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও পাঠানো হয়। এই রিপোর্টকে মানহানিকর বলে আদালতের দ্বারস্থ হন অমৃতা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষুব্ধ হন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অমৃতা সিং। তাঁর দাবি, ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, তাঁর নেতৃত্বে জেএনইউ-র এক দল শিক্ষক-শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ২০০ পাতার একটি নথি তৈরি করেন। সেই নথিতে নানা আপত্তিকর মন্তব্য লেখা ছিল এবং পরে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও পাঠানো হয়। এই রিপোর্টকে মানহানিকর বলে আদালতের দ্বারস্থ হন অমৃতা।
advertisement
4/6
প্রথমে ২০১৭ সালে নিম্ন আদালত অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে তলব করে। এর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম দিল্লি হাই কোর্টে যায়। তবে সেখানে তাদের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শুনানিতে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।
প্রথমে ২০১৭ সালে নিম্ন আদালত অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে তলব করে। এর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম দিল্লি হাই কোর্টে যায়। তবে সেখানে তাদের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শুনানিতে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।
advertisement
5/6
ভারতের ন্যায়সংহিতায় এখনও মানহানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। অতীতে রাহুল গান্ধি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো বিরোধী নেতারাও এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে, এবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভবিষ্যতে নতুন দিশা দিতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের ন্যায়সংহিতায় এখনও মানহানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। অতীতে রাহুল গান্ধি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো বিরোধী নেতারাও এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে, এবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভবিষ্যতে নতুন দিশা দিতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
6/6
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বনাম Union of India মামলায় ২০১৬ সালে, শীর্ষ আদালত অপরাধমূলক মানহানির সাংবিধানিকতা সমর্থন করেছিল। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর একটি যুক্তিসঙ্গত সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করে এবং জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের একটি মৌলিক দিক।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বনাম Union of India মামলায় ২০১৬ সালে, শীর্ষ আদালত অপরাধমূলক মানহানির সাংবিধানিকতা সমর্থন করেছিল। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর একটি যুক্তিসঙ্গত সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করে এবং জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের একটি মৌলিক দিক।
advertisement
advertisement
advertisement