RG Kar Case-CBI: 'ওই রাতে...' আরজি কর কাণ্ডে চার জনকে ডাকল সিবিআই! কারা তারা জানেন? চমকে যাবেন! বাবা-মা'ও গেল হাইকোর্টে

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে আরজি কর হাসপাতালের চার জন নার্সকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে চারজন নার্স সল্টলেকে সিবিআই দফতরে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

এদিকে, আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আবেদন দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।বিচারক- আমি সেটা এখন বলতে পারবো না। এই প্রথম বিচারকের সামনে নিজেই বলল সঞ্জয়।

আবেদনকারীর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এই মামলার শুনানি গ্রহণ করতে পারবে। এরপরই আগামী সোমবার মামলার শুনানি দিন ধার্য করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

আরজি কর কাণ্ডে নতুন করে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ''কোনও মন্তব‍্য করছি না এ ব‍্যপারে। হাইকোর্ট এই মামলার শুনানি করতে পারবে।'' আগামী ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

তবে, নির্যাতিতার পরিবারের মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। আরজি কর মামলায় আরও তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় সেই সময় মামলাটি শুনতে চায়নি তারা। শীর্ষ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পরিবারের আবেদন শুনতে পারবে হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। ওই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না পরিবারের কাছে জানতে চান, তারা কোন আদালতে ওই মামলাটি রাখতে চান। তারা জানায়, সিবিআই তদন্তে ত্রুটির বিষয়টির বিচার হোক হাইকোর্টে।

সোমবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠতেই নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী করুণা নন্দী আদালতে অনুরোধ করেন, যাতে হাইকোর্টের একক বেঞ্চকে বলা হয়, সিবিআইকে এই মামলায় আরও তদন্ত করার জন্য। তবে ওই অনুরোধে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, ''আমরা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। হাইকোর্টের একক বেঞ্চ আবেদন শুনতে পারে।''

নির্যাতিতার বাবা-মা আগেই দাবি করেছেন, আদালতের উপর তাদের ভরসা আছে। তবে যেভাবে CBI একদম চুপচাপ করে বসেছিল, তার জন্য ক্ষোভ জন্মেছিল তাঁদের। তবে সম্প্রতি CBI আবার ১২ জন পুলিশ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকায় সামান্য আশার আলো দেখেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এরপর বৃহস্পতিবার আরও চার জন নার্সকেও তলব করা হল।