বেসরকারি ল’কলেজ, ফার্মাসি কলেজেও কোটির 'লেনদেন'! লাভ কুড়িয়েছেন পার্থ? আদালতে বিরাট দাবি ইডির

#কলকাতা: টাকার বিনিময়ে অযোগ্য-অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া। বিভিন্ন প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ছাত্র ভর্তিতে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন বাবদ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার একাধিক বেসরকারি ল’কলেজ ও বেসরকারি ফার্মাসি কলেজের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলল ইডি। বুধবার বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবীর তরফে গুরুতর এহেন অভিযোগ আনা হয়। এদিন শুনানি পর্বে ইডির আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়, "তদন্ত চলছে, অগ্রগতিও হয়েছে। এমন একাধিক বেসরকারি ল’কলেজ ও ফার্মাসি কলেজের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদের এনওসি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমানে টাকার লেনদেন হয়েছে। আর সেই টাকায় লাভবান হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর গভীরে পৌঁছোনো দরকার আছে বলেই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।" আরও পড়ুন: অনলাইনে বুকিং করে 'জাল হোটেলের' ফাঁদে ফেঁসেছেন? কী ভাবে বুকিং করবেন? আগাম সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ! কেন অভিযুক্তদের দীর্ঘ সময়ের রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তারই প্রেক্ষিতে বিচারক ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন এতটা সময়ের রিমান্ড দাবি করা হচ্ছে? জানতে চাওয়া হয় তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও। তারই উত্তর দিতে গিয়ে অগ্রগতি নিয়ে ইডির দাবি বেসরকারি ল’কলেজ ও ফার্মাসি কলেজের অনুমোদন নিয়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য সামনে আনে আদালতের। একইসঙ্গে ফের মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগের কথাও বলা হয় ইডির তরফে। আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন 'কারচুপি'! 'পুরো হযবরল...' মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইডি আইনজীবী বলেন, কয়েকটা সেকশন গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায়। অভিযুক্তদের তরফে বলা হচ্ছে অপরাধ হয়েছে, তাড়াতাড়ি ধরো, সিজার করো বিচারপ্রক্রিয়া শুরু কর। কিন্তু স্পেশাল ল এর ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। পিএমএল অ্যাক্টের কিছু ধারাতে বলা আছে তদন্তে কিছু উদ্ধার হলে তার উৎস কোথায় সেই পর্যন্ত পৌঁছোতে হবে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডাকাতির প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়। বলা হয় ডাকাতি হল টাকা উদ্ধার হল, ডাকাত দল ধরা পড়ল এই পর্যন্ত ঠিক। কিন্তু যদি দেখা যায় ডাকাত দল টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাহলে সেখানে পৌঁছতে হলে তো তদন্ত চালাতেই হবে। এক্ষেত্রেও অপরাধের যা গুরুত্ব রয়েছে, একাধিক নামে বেনামে লগ্নি, টাকা সরানোর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেল কোম্পানি খুলে টাকা সরানো হয়েছে। এর গভীরে পৌঁছোনোর লক্ষ্যে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এদিন আদালতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিচারকের কাছে জবাব দেন তদন্তকারী অফিসারও। তবে এদিন দুই অভিযুক্তের তরফে জামিনের আবেদন করা হয়নি। দুপক্ষের সওয়াল শেষে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

বেসরকারি ল’কলেজ, ফার্মাসি কলেজেও কোটির 'লেনদেন'! লাভ কুড়িয়েছেন পার্থ? আদালতে বিরাট দাবি ইডির

ছবি

লেটেস্ট খবর