KK Last Show: ২৫০০ আসনের হলে ৭০০০ মানুষ? গেটে গেটে ভাংচুরের চিহ্ন! নজরুল মঞ্চে জীবনের শেষ Live শো কেমন ছিল KK-র?

নজরুল মঞ্চে জীবনের শেষ লাইভ অনুষ্ঠান করে গেলেন তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব কে কে। সোম ও মঙ্গল পরপর দু'দিন সন্ধ্যেবেলায় অনুষ্ঠান ছিল এই মঞ্চেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁধ ভেঙে যায় প্রিয় গায়ক এর অনুষ্ঠান দেখার জন্য। ভাঙচুর, ইট ছোড়াছুড়ি এবং শেষপর্যন্ত মঞ্চে দর্শকদের দাপাদাপি। অনুষ্ঠান শেষ করে হোটেলে ফিরে যান কেকে আর তারপর সব শেষ। ছবি প্রতীকী।

নজরুল মঞ্চের ভিআইপি এন্ট্রান্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন গেটে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার ছবি আজ স্পষ্ট। কোথাও কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে বাঁশ ও কাঠের টুকরো। কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত কর্মী চন্দন মাইতি জানান, নজরুল মঞ্চ অডিটোরিয়ামে মোট ২ হাজার ৪৮২ জন বসতে পারেন। গতকাল সন্ধ্যেবেলায় ছয় সাত হাজারের বেশি দর্শক ভিড় করেন বাইরে। অনুষ্ঠান শুরু হতেই শুরু হয়ে যায় বিশৃঙ্খলা। ছবি ও প্রতিবেদন বিশ্বজিৎ সাহা

আর্দ্রতা বেশি থাকায় বারবার ঘাম মুছছিলেন তোয়ালে দিয়ে। তবে পারফরম্যান্সের মাঝে একবার আর্টিস্ট রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেন কিছুক্ষণের জন্য শিল্পী। ছবি ও প্রতিবেদন বিশ্বজিৎ সাহা

ভারতবর্ষের নতুন প্রজন্মের কাছে হার্টথ্রব গায়ক কেকের জীবনাবসান মাত্র  বছর ৫৩ বয়সেই। এই কলকাতাতেই। শিল্পী কেকের পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। কলকাতা নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটা অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল উল্টোডাঙ্গা গুরুদাস কলেজ।

অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি সাড়ে আটটার পর চলে যায় না হোটেল। সেখানে অসুস্থতা বোধ করায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ছবি ও প্রতিবেদন বিশ্বজিৎ সাহা

কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান হয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় বাংলার শ্রোতারা যেমন হতবাক ঠিক তেমনিভাবেই শোকস্তব্ধ গোটা দেশের সঙ্গীত মহল।

আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। বাংলা বা হিন্দি গান নয়, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশন করে তিনি গত কয়েক বছরে গোটা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন।