Indian Museum Firing With AK-47: বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্বয়ংক্রিয় কালাশনিকভ বা AK-47 দিয়ে পার্ক স্ট্রিটের জাদুঘরে গুলি চলেছে, দেখলে চমকে যাবেন

একটি-দু'টি নয়, শনিবার ভর সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটের জাদুঘরে সিআইএসএফ-এর ব্যারাকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি চলেছে। একে-৪৭ আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। (Indian Museum Firing With AK-47)

জাদুঘরের ভিতরে তখন আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি চালাতে চালাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সিআইএসএফ-এর হেড কনস্টেবল ৪৩ বছরের অক্ষয় কুমার মিশ্র৷ কলকাতা পুলিশের অপারেশন মোজো শেষ পর্যন্ত অবশেষ টানে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই বন্দুক।

একে-৪৭ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। এটি একটি গ্যাস পরিচালিত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, এর ডিজাইনার রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) মিখাইল কালাশনিকভ। কালাশনিকভ ১৯৪৭ সালে এই উন্নত স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরি করেন বলে তার নামানুসারে এর নাম দেওয়া হয় আভটোমাট (স্বয়ংক্রিয়) কালাশনিকভ ১৯৪৭ বা সংক্ষেপে একে-৪৭।

এমনই ভয়ঙ্কর কালাশনিকভ দিয়ে শনিবার কলকাতা জাদুঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সিআইএসএফ-এর হেড কনস্টেবল অক্ষয় কুমার মিশ্র৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সিআইএসএফ-এর এএসআই আর কে সারেঙ্গির৷

আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুবীর ঘোষ নামে জাদুঘরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট পদমর্যাদার এক অফিসার৷ সুবীরের হাতে গুলি লাগে। ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে।

চোখের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সহকর্মীরা। তবুও নির্বিকার অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার মিশ্র। কলকাতা জাদুঘরে তখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে 'বন্দুকবাজ' সিআইএসএফ জওয়ান। ধৃত জওয়ানের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে।

রাতেই কলকাতা পুলিশ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে শুরু করে অপারেশন 'মোজো'। আততায়ীকে খুঁজে বের করতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। প্রায় দেড় ঘন্টা তল্লাশি অভিযানের পর খোঁজ মেলে অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার মিশ্রর। গ্রেফতারির পর চোখেমুখে কোনও ভয় বা অনুতাপের লেশমাত্র ছিল না বলে দেখা গিয়েছে।