Government Employees DA: DA নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বড় নির্দেশ! কত টাকা পাওনা সরকারি কর্মীদের, কত টাকা মিলবে? কত খরচ হবে রাজ্যের? জানুন

Last Updated:
Government Employees DA: ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, বকেয়া ডিএ বাবদ মোট ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা পাওনা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
1/8
বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ এখনই মেটাতে হবে রাজ্যকে। শুক্রবার ডিএ মামলার অন্তর্বর্তী রায়ে এমন কথাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় করোলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে। এই নির্দেশের জেরে ডিএ মামলায় বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ এখনই মেটাতে হবে রাজ্যকে। শুক্রবার ডিএ মামলার অন্তর্বর্তী রায়ে এমন কথাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় করোলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে। এই নির্দেশের জেরে ডিএ মামলায় বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
advertisement
2/8
সেই হিসেবে রাজ্যের কোষাগার থেকে কত টাকা খরচ হতে চলেছে? ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, বকেয়া ডিএ বাবদ মোট ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা পাওনা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
সেই হিসেবে রাজ্যের কোষাগার থেকে কত টাকা খরচ হতে চলেছে? ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, বকেয়া ডিএ বাবদ মোট ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা পাওনা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
advertisement
3/8
এরপর ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের হিসেবে সেই অঙ্ক আরও বাড়বে। ২০২২ ডিসেম্বরে রাজ্যের দেওয়া হিসেব ধরলেও এই মুহূর্তে পঁচিশ শতাংশ বকেয়া দেওয়ার অর্থ, ১০৪২৫ কোটি টাকার বেশি রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এই অঙ্ক ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের নিরিখে বকেয়া আরও বাড়বে।
এরপর ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের হিসেবে সেই অঙ্ক আরও বাড়বে। ২০২২ ডিসেম্বরে রাজ্যের দেওয়া হিসেব ধরলেও এই মুহূর্তে পঁচিশ শতাংশ বকেয়া দেওয়ার অর্থ, ১০৪২৫ কোটি টাকার বেশি রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এই অঙ্ক ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের নিরিখে বকেয়া আরও বাড়বে।
advertisement
4/8
যদিও এই মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা এখনও হয়নি। আগামী অগস্টে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, ''আমরা সরকারের তরফের নোট পড়েছি। আমরা স্যাট সহ আদালতের সব রায়ও পড়েছি। সত‍্যি বলতে আমরা রায়ে হস্তক্ষেপ করতে খুব একটা আগ্রহী নই। আপনারা (সরকারকে) আপাতত ৫০% বকেয়া মেটান।''
যদিও এই মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা এখনও হয়নি। আগামী অগস্টে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, ''আমরা সরকারের তরফের নোট পড়েছি। আমরা স্যাট সহ আদালতের সব রায়ও পড়েছি। সত‍্যি বলতে আমরা রায়ে হস্তক্ষেপ করতে খুব একটা আগ্রহী নই। আপনারা (সরকারকে) আপাতত ৫০% বকেয়া মেটান।''
advertisement
5/8
রাজ‍্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এরপর বলেন, ''৫০% বকেয়া মানে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এত বড় অর্থ রাজ‍্যের কোমড় ভেঙে দেবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ শতাংশটা বিবেচনা করা হোক।'' এরপরই ২৫% বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
রাজ‍্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এরপর বলেন, ''৫০% বকেয়া মানে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এত বড় অর্থ রাজ‍্যের কোমড় ভেঙে দেবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ শতাংশটা বিবেচনা করা হোক।'' এরপরই ২৫% বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
advertisement
6/8
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। সময় নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তবে সময়ের অভাবে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি আর হয়ে ওঠেনি। কখনও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর অনুরোধে, কখনও অন্য কোনও কারণে আড়াই বছর ধরে বার বার পিছিয়েছে ডিএ শুনানি।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। সময় নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তবে সময়ের অভাবে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি আর হয়ে ওঠেনি। কখনও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর অনুরোধে, কখনও অন্য কোনও কারণে আড়াই বছর ধরে বার বার পিছিয়েছে ডিএ শুনানি।
advertisement
7/8
কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। কিন্তু হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। প্রথম শুনানি হয় সে বছরের ২৮ নভেম্বর। সেই থেকে মামলাটি বিচারাধীন। তবে এই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই কয়েক দফায় ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা কেন্দ্রীয় হারের সমতুল্য হয়নি।
কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। কিন্তু হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। প্রথম শুনানি হয় সে বছরের ২৮ নভেম্বর। সেই থেকে মামলাটি বিচারাধীন। তবে এই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই কয়েক দফায় ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা কেন্দ্রীয় হারের সমতুল্য হয়নি।
advertisement
8/8
রাজ্যের হয়ে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ ছাড়া, সরকারি কর্মীদের একাংশের তরফে রয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
রাজ্যের হয়ে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ ছাড়া, সরকারি কর্মীদের একাংশের তরফে রয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
advertisement
advertisement
advertisement