'হাঁটলেই বিয়ে হয় না...'! দাম্পত্যের ইনিংস সামলে ২৬-এর ভোট, পারবেন? রাত পেরোতেই ইকোপার্কে এসে যা বললেন দিলীপ!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Dilip Ghosh After Marriage: বিয়ের পরে প্রথম জন্মদিন। চিরাচরিত রূপেই ধরা দিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ, শুভেচ্ছা বিনিময় আর সাদামাটা উদযাপনেই কেটে গেল এই বিশেষ সকাল। রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে এসে ব্যক্তিগত পরিসরে এমন জন্মদিন উদযাপন নিঃসন্দেহে দিল এক ভিন্ন বার্তা।
advertisement
সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ইকো পার্কের সবুজের মাঝে ঘাম ঝরালেন দিলীপ ঘোষ। এরপর সঙ্গীদের সঙ্গে উদযাপিত হল জন্মদিন। পার্কের এক কোণে ঘিরে ধরা হল ছোট্ট আসর, যেখানে কেক কাটা হল জমিয়ে। মিষ্টির তালিকায় ছিল পায়েসও—জন্মদিনে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া যেন অনিবার্য! উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন ঘনিষ্ঠ অনুগামী, রাজনৈতিক সহযাত্রী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
advertisement
বিয়ে দিয়ে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা রাখলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দলেরই কর্মী রিঙ্কু মজুমদারকে। শুধুই রাজনীতিক নন, প্রেমিক হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করলেন দিলীপ। বিয়ের পরদিনই তাঁর জন্মদিন। আর সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে হাজির হলেন ইকো পার্কে—যে পার্কেই রিঙ্কুর সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। প্রেম থেকে পরিণয়ে পৌঁছনোর গল্পে জড়িয়ে রয়েছে এই পার্কের নাম। তাই জন্মদিনের দিনেও পছন্দের ঠিকানাতেই এলেন দিলীপ ঘোষ।
advertisement
advertisement
দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, যাঁরা ভাবছেন ইকো পার্কে হাঁটলেই প্রেম এবং পরে বিয়ে হবে, তাঁদের উদ্দেশে বলি—তিনি মর্নিং ওয়াক করতে আসেন না, এই মানুষটি আগে থেকেই তাঁর পরিচিত, এমনকি বহু পুরনো দলীয় কর্মী এবং তাঁর বাড়িতেও এসেছেন আগেই। পরিস্থিতির কারণেই হঠাৎ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। দিলীপের কথায়, “সারা জীবন হাঁটলেও বিয়ে হবে না, যখন হওয়ার তখনই হবে।”
advertisement
তাঁর দাবি, পরিস্থিতি যতই পাল্টাক না কেন, দিলীপ ঘোষের মিশন কখনও পাল্টাবে না। রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা বরাবরই সক্রিয়। রামনবমীর মিছিল থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি হারানোদের পাশে দাঁড়ানো—সবক্ষেত্রেই তিনি মাঠে ছিলেন। শুধুমাত্র দু’দিন ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে ছিলেন, আজ থেকে আবার পুরোদমে কাজে ফিরছেন। তাঁর ভাষায়, “লোকজন যখন রাতে কেক কাটে, আমি সকাল ছ’টায় কেক কাটি। এটা বুঝতে হবে যে দিলীপ ঘোষ মানে দিলীপ ঘোষ।”
advertisement
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, এতদিন কাশ্মীর থেকে হিন্দুরা উদ্বাস্তু হয়ে অন্যত্র যেতেন, এখন এই রাজ্যেই হিন্দুদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পালাতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ইমামদের সঙ্গে দেখা করার সময় পান, কিন্তু আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান না। এমনকি মিডিয়াকেও সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, ত্রাণও পৌঁছাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মতে, এই ঘটনায় সরকারের কোনও সমবেদনা নেই।
advertisement
দিলীপ ঘোষ জানান, রাজ্যপাল এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন, কিন্তু রাজ্যের শাসকের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। তিনি আরও বলেন, ১১ তারিখ মালদা থেকে ফেরার পথে তাঁকে গেস্ট হাউসে বসিয়ে রাখা হয়, অথচ বিভিন্ন হিংসার জায়গা থেকে তাঁর কাছে ফোনে বিএসএফ পাঠানোর অনুরোধ আসে। বিকেল ৬টার পর বিএসএফ ঢোকে। ফেরার পথে তিনি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখতে পান। দিলীপের মন্তব্য, যদি বিএসএফ-ই পুলিশের কাজ করে, তাহলে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হোক।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
দিলীপ ঘোষের বিয়ের পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। এমন সময় দলীয় কাজে আগের মতো সক্রিয়ভাবে তাঁকে আদৌ দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সঙ্ঘজীবন থেকে রাজনীতির ময়দান—প্রতিটি দায়িত্বই তিনি পালন করেছেন হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে। আগামীতেও সেই নীতিতেই অটল থাকবেন বলে জানান তিনি।