College Street: এক রাতের বৃষ্টিতে সর্বস্বান্ত বইপাড়া, শেষ সম্বলটুকু আঁকড়ে চলছে রোদে বই শুকানোর মরিয়া চেষ্টা
- Reported by: EERON ROY BARMAN
- news18 bangla
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে 'সর্বস্বান্ত' কলেজ স্ট্রিট! উৎসবের মুখেই বিপুল ক্ষতিতে বিপর্যস্ত বইপাড়া। কলকাতা শহরের জল যন্ত্রণায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হল কলেজ স্ট্রিট বই পাড়ার একাধিক দোকান ও প্রকাশনী সংস্থাকে
advertisement
advertisement
সোমবার এক রাতের বৃষ্টিতে কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বর্ণপরিচয় মার্কেট সব জলের তলায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্সির সামনে প্রায় এক কোমর জল। ফলে প্রত্যেকটা দোকানেই জল ঢুকে গিয়েছে। বইয়ের দোকানে বই সাধারণত মাটিতেই রাখা থাকে। যে-সব ছোট দোকান পুরনো বই বিক্রি করে, সাধারণত তাদের বসার জায়গার নীচেই বই রাখার ব্যবস্থা। রাস্তাঘাট জলে ভরে যাওয়ায় এককথায় 'সব শেষ'!
advertisement
বই-ব্যবসাবীদের দাবি, কারও ৭০-৮০ হাজার টাকার, কারও বা লক্ষাধিক টাকার বই নষ্ট হয়েছে। ভিজে যাওয়ায় ফেলে দিতে হচ্ছে বহু নতুন বই। তার মধ্যে থেকেও কিছু বই বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। গোটা কলেজস্ট্রিট জুড়ে করুণ চিত্র... রোদে দিয়ে শুকানোর চেষ্টা চলছে বই। ঙ্গলবার দেখা গিয়েছিল, জলে ভাসছে বই। বুধবারের ছবি, বই শুকিয়ে কিছুটা হলেও আর্থিক ক্ষতি সামলানোর চেষ্টায় পুস্তক-ব্যবসায়ীরা।
advertisement
কলকাতার আকার কিছুটা গামলার মতো। চারপাশ উঁচু। মাঝে নিচু। তাই, বৃষ্টি হলেই জল জমে। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে কলকাতাবাসী যে দৃশ্য দেখলেন, তা নজিরবিহীন। গলি থেকে রাজপথ। সর্বত্রই জল থইথই। কেন এই জল-বিপর্যয় ? কেন এই ভাবে ভাসল মহানগরী ? কেন জল নামতে সময় লেগে গেল ? কলকাতার জমা জল গঙ্গায় গিয়ে পড়ে ৷ গঙ্গায় রয়েছে লকগেট। এই লকগেট খোলা থাকলে জমা জল গিয়ে পড়ে গঙ্গায়। জোয়ারের সময় গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যায় বলে লকগেট বন্ধ রাখা হয়। যাতে জোয়ারের জল কলকাতাকে ভাসিয়ে না দেয়।
advertisement
সোমবার রাতে জোয়ারের সময় গঙ্গার জলস্তর স্বাভাবিকের থেকে ১৮ ফুট বেশি ছিল। তাই সোমবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত বন্ধ ছিল লকগেট। এই সময়েই রেকর্ড বৃষ্টি হয় কলকাতায়।সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ায়। ৩৩২ মিলিমিটার। এক ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হলে তাকে ক্লাউড বার্স্ট বলা হয়। অর্থাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি। সোমবার রাত তিনটে থেকে ভোর চারটের মধ্যে প্রায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সাধারণত কলকাতা থেকে জল বের করা হয় একাধিক খাল দিয়ে। যেমন বাগজোলা, চড়িয়াল, চৌবাগা, তপসিয়া ইত্যাদি। এদিন সেটাও সম্ভব হয়নি। কারণ সবক’টি খালই জলে টুইটুম্বুর। জল বেরোবে কোথা দিয়ে! ফলে যা হওয়ার তাই-ই হয়েছে। মঙ্গলবার ভেসেছে কলকাতা।









