• কোনও একটি নির্দিষ্ট প্রাণী বেঁচে থাকে তার বাস্তুতন্ত্রের ওপরে। বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হলে খাওয়ার জোটে না। বংশবৃদ্ধি ব্যহত হয়, তার ফলে ধীরে ধীরে নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে হার মানতে হয় প্রাণীদের। তেমনই অবস্থায় পড়েছে মেরু ভাল্লুক। গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে দুই মেরুর বরফের পরিমাণ একটু একটু করে কমে আসছে। আর তাতেই প্রভূত সংকটের মুখে পড়েছে মেরু ভাল্লুক। কারণ, বরফ ছাড়া তাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব।
• কেন অসম্ভব? কারণ, তার স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রই বরফের ওপর নির্ভরশীল। খাদ্যের যোগান থেকে পরিবেশ, পরিস্থিতি, একেবারে চরম ঠাণ্ডা ও বরফ না থাকলে এই প্রাণীর পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আর ক্রমে মেরু অঞ্চলে সেই বরফের পরিমাণ কমছে বলেই সে খাদ্য পাচ্ছে না, সন্তানকে বড় করার সুযোগ পাচ্ছে না। সাধারণত মাছ শিকার করে বা জলজ প্রাণীর যোগান যদি না থাকে, তাহলে ভাল্লুকের না খেয়ে মরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
• গবেষক মালনার ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এই প্রজাতির প্রাণীর শিকার করার জন্য বরফ প্রয়োজন। কারণ, এমনি মাটিতে এদের পেট ভরার মতো যথেষ্ট খাবার পাওয়া যায়। তবে মেরু ভাল্লুক একবারে অনেকটা পরিমাণ খেয়ে দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকতে পারে। তাদের শারীরিক গঠন এমন হওয়ায় এখনও বেঁচে থাকার একটা ক্ষীণ আশা রয়ে যায়। মেরু ভাল্লুক নিজের শক্তি সঞ্চয় করে দীর্ঘদিন না খেয়েও চলতে পারে বলেই এত দূষণের পরেও টিকে আছে।