পাতিয়ালার রাজার হীরে-জহরত খচিত হার দেখা যায় ২০ বছর বয়সী যুবতীর গলায়৷ ইউটিউবার এমা চেম্বারলিনকে এই হার পরিয়েছে বিখ্যাত ফরাসি গহনা প্রস্তুতকারী সংস্থা কার্টার৷ এই বিশেষ ধরনের হারকে বলা হয় চোকার৷ ফ্যাশন শোয়ে যুবতীর গলায় এই চোকার দেখেই চিনে ফেলেন জহুরীরা৷ তারা জানিয়েছেন, এই চোকার আসলে পাতিয়ালার মহারাজ ভূপিন্দর সিং-এর যা তৈরি হয়েছিল ১৯২৮ সালে৷ এই চোকার তৈরির পিছনে রয়েছে এক গল্প৷ পঞ্জাবের রাজার কাছে ছিল বিশ্বখ্যাত হিরে প্রস্ততকারক সংস্থা ডি বিয়ার্সের একটি হিরে৷ সেই হিরেটি তিনি চোকারের মাঝে বসানোর নির্দেশ দেন৷ এটি তিনি তাঁর উত্তরাধিকারিকদের জন্য রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন৷
কেমন দেখতে ছিল গলার এই হার? প্ল্যাটিনামের পাঁচ লহরি হার, ২৯৩০টি হিরে এবং বার্মিজ রুবি দিয়ে তৈরি ছিল রাজকীয় হার৷ এই সব দামী পাথর কার্টিয়ার সংস্থার কাছে নিজে নিয়ে গিয়েছিলেন মহারাজ৷ নিজের মনের মতো করে হার তৈরি করার ইচ্ছে ছিল তাঁর৷ কয়েক হাজার ক্যারেট ওজনের এই হারের মাঝে গাঁথা ছিল ২৩৪.৬ ক্যারেটের ডি-বিয়ার্স হিরে৷ একটি গল্ফ বলের সমান, বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম এই হিরেটি!
যদিও ১৯৪৮ থেকে রাজ কোষাগার থেকে উধাও হয়ে যায় এই দামী হার৷ ৩৪ বছর পর রহস্যজনক ভাবে তা আবার সকলের সামনে আসে৷ তবে প্রথমে সামনে আসে বিশালাকার হিরেটি৷ ১৯৮২ তে সথবি-র অকশনে দেখা যায় এই হিরে৷ তখনই এর মূল্য রাখা হয় তিন মিলিয়ান মার্কিন ডলার৷ ১৬ বছর পর আলাদা দেখা মেলে প্ল্যাটিনামের চোকার, যদিও তাতে হিরে, রুবি কিছুই ছিল না৷ কার্টিয়ার সংস্থা সেই হারটি কিনে নিয়ে পুনরায় আগের মতো করে সাজিয়ে নেয় ৷ অটুট থাকলে, রাজকীয় এই হারের দাম প্রায় ৩ কোটি মার্কিন ডলারের সমান হত বলেনই অনুমান৷ (প্রতীকী ছবি)