Pakistans Nuclear Threat: টার্গেট ফিক্সড!...মিসাইল দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান, আমেরিকায় দাঁড়িয়ে উঁচু গলায় ঘোষণা আসিম মুনিরের

ওয়াশিংটন: আমেরিকার মাটি থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে সরাসরি নিউক্লিয়ার হুমকি পাকিস্তানের৷ বিষয়টিকে বেনজির ঘটনা বললেও মনে হয় কম বলা হয়৷ এক দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে অন্য দেশের এক রাষ্ট্রনেতার তাঁরই পড়শি দেশকে এই ভাবে হুমকি দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের কারও মনে পড়ে কি না জানা নেই৷ কিন্তু, জানেন কি, ভারতকে ঠিক কী কী হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির৷

মার্কিন সেনার ইউনাইটেড সেন্ট্রাল কম্যান্ডের (CENTCOM)কম্যান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিল্লার অবসরগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাকিস্তানের চিফ ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশের পরমাণু অস্ত্র আছে৷ আমাদের যদি মনে হয় আমাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে, তাহলে আমরা অর্ধেক পৃথিবীকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেব৷’’

ফ্লোরিডার টাম্পায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মুনিরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমরা অপেক্ষা করব ভারতের বাঁধ বানানো পর্যন্ত৷ আর যখন সেটা করবে, আমরা ১০টা মিসাইল দেগে সেটা উড়িয়ে দেব৷ সিন্ধু নদের জল ভারতের পারিবারিক সম্পত্তি নয়৷ আমাদের মিসাইলের কমতি নেই৷’’

প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সাল থেকে চলে আসে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি খারিজ করেছিল ভারত৷ সেই প্রসঙ্গেই মুনিরের এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে৷

মুনিরের এই মন্তব্যের পরেই কড়া বিবৃতি প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক৷ সেখানে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের এই পরমাণু হুমকির বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে ইতিমধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোপের মুখে পড়েছে ভারত৷ জারি হয়েছে ৫০ শতাংশ শুল্ক৷ অন্যদিকে, পাকিস্তানের তেলের খনি থেকে তেল তোলা নিয়ে মুনিরদের সঙ্গে চুক্তি করেছে ট্রাম্পের আমেরিকা৷ পাকিস্তানের উপরে ধার্য শুল্কও ভারতের চেয়ে অনেক কম, মাত্র ১৯ শতাংশ৷

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পরে এই নিয়ে ২ মাসে ২ বার আমেরিকায় গিয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিফ মুনির৷ প্রথম সফরের পরে এসেছে ভারতের উপরে মার্কিন শুল্ক ধাক্কা ও এবার এই মুনিরের পরমাণু হুমকি৷

আশ্চর্যজনক ভাবে, মুনিরের এই হুমকির পরে এর থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি মার্কিন প্রশাসন৷ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, আসলে আমেরিকার প্রচ্ছন্ন সমর্থনেই এতটা বাড়িয়ে খেলতে পারছে পাকিস্তান৷