Azerbaijan Airlines Plane Crash: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়া আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানের গায়ে এ কীসের দাগ? ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ‘নাশকতা’-র তত্ত্ব
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
আসলে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটির মূল দেহেই মিলেছে শ্রাপনেল (Shrapnel Marks) ৷ অর্থাৎ এটি হল বোমা বিস্ফোরণের সময় ছিটকে যাওয়া ছোট ছোট ধাতুর অংশ। ফলে আপাতত নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বড়দিনের আনন্দের মাঝেই ঘটে গিয়েছে এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। কাজাখস্তানের অ্যাকটাউ শহরের কাছেই ভেঙে পড়েছে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের (Azerbaijan Airlines) যাত্রিবাহী বিমানটি। তাতে থাকা ৬৭ জন আরোহীর মধ্যে ৩৮ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো সারা বিশ্বেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে। আসলে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটির মূল দেহেই মিলেছে শ্রাপনেল। অর্থাৎ এটি হল বোমা বিস্ফোরণের সময় ছিটকে যাওয়া ছোট ছোট ধাতুর অংশ। ফলে আপাতত নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। Photo: AP
advertisement
advertisement
যদিও রাশিয়ার অ্যাভিয়েশন ওয়াচডগের তরফে জানানো হয়েছে যে, অ্যাকটাউয়ের কাছে একটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন বিমানচালক। তবে কিছু নাশকতা তত্ত্বে দাবি করা হচ্ছে যে, বিমানটিকে ইউক্রেনের ড্রোন ভেবে ভুল ঠাহর করেছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ফলে সেটিকে গুলি করে নামানোর চেষ্টা করে তারা। যদিও এই দাবির সত্যতা স্বাধীন ভাবে যাচাই করেনি CNN-News18। Photo: AP
advertisement
বিমানটির মূল দেহাংশে শ্রাপনেলের দাগ (Shrapnel Marks) দেখা গিয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, বিমানে কোনও রকম সংঘর্ষ হলে এই দাগ লাগার কথা নয়। বিএনও নিউজের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, বিমানচালকেরা ওই সময় রাশিয়ান এয়ার ডিফেন্সের কাছে কল করেছিলেন। যাঁরা ওই সময় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। বিমানটির উপর গুলি চালানো হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে কাজাখস্তানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কানাত বোজাম্বাইয়েভ বলেন, অপরিণত মন্তব্য করার সাহস আমি করব না। এমনটাই জানানো হয়েছে বিএনও নিউজের প্রতিবেদনে। Photo: AP
advertisement
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ রাশিয়াই ছিল বিমানটির গন্তব্য। আর সেখানকার এমন একটি এলাকায় সেটির যাওয়ার কথা ছিল, যেখানে মস্কোর বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্প্রতি ইউক্রেনীয় ড্রোনের সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছে। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমান ১৭-কে গুলি করে নামানো হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই। পূর্ব ইউক্রেনের দিকে উড়ে যাওয়ার সময়ই রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছিল ওই বিমানটিকে। Photo: AP
advertisement
বিমান ভেঙে পড়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে, সেই আগুনে রীতিমতো ঘি ঢেলে এক এক্স ব্যবহারকারী বলেন যে, বাকু-গ্রোজনি আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানর উপর গুলি চালিয়েছে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স। তারা বিমানটিকে ইউক্রেনীয় ড্রোন ভেবে এই ভুল করে ফেলেছে। আর এই জল্পনাই এখন তুঙ্গে। ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের দেহাংশই এমএইচ১৭ বিমানের ভবিতব্যটাকেই স্মরণ করিয়ে দেবে। অন্য এক ব্যবহারকারী বলেন যে, এই বিমানটিকে ভুল করে গুলি করেছে রাশিয়া অথবা ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স। আসলে শত্রু দেশের ড্রোন ভেবে ভুল করে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে তারা। Photo: AP
advertisement
পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলে কি এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটল? আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের যাত্রিবাহী বিমানটি বুধবার পশ্চিম কাজাখস্তানে ভেঙে পড়েছে। আর এর ভিতরে থাকা অক্সিজেন ট্যাঙ্কেও ঘটে গিয়েছে বিস্ফোরণ। কাজাখস্তানের মিডিয়া আউটলেটের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তারা এ-ও জানিয়েছে যে, বিমান ভেঙে পড়ার আগে যাত্রীরা অচৈতন্য হয়ে পড়তে শুরু করেন। Photo: AP
advertisement
advertisement
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ তাঁর রাশিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। আসলে রাশিয়ায় তাঁর সাবেক সোভিয়েত দেশগুলির একটি গ্রুপ কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসের নেতাদের একটি ইনফর্ম্যাল শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এমনটাই জানানো হয়েছে প্রেসিডেন্টের দফতরের তরফে। এরপর বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস বলে ঘোষণা করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। Photo: AP
advertisement
advertisement
বিমানটি নিজের গতিপথ কেন পরিবর্তন করল? আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন যে, প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে যে, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকার কারণে বাকু এবং গ্রোজনির মধ্যেবর্তী জায়গায় নিজের গতিপথ পরিবর্তন করেছিল বিমানটি। এরপর সেটি অ্যাকটাউ বিমানবন্দরের দিকে ছুটছিল। সেখানেই অবতরণের সময় তা ভেঙে পড়ে। আলিয়েভ যদিও খারাপ আবহাওয়াকেই বিমান দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তবে এই মর্মান্তিক ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ওই বিমানে থাকা আরোহীদের মধ্যে ৪২ জন আজারবাইজানের নাগরিক, ১৬ জন রাশিয়ার নাগরিক, ৬ জন কাজাখস্তানের নাগরিক এবং ৩ জন কিরঘিজস্তানের নাগরিক ছিলেন। Photo: AP
advertisement