Iran Nuclear Weapon: বোকা বনে গেল আমেরিকা-ইজরায়েল! পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেলেছে ইরান? মিলে গেল 'প্রমাণ'! এবার কি টার্গেট! নিশানায় কে? খামেইনির বিরাট বার্তা
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Iran Nuclear Weapon: বছর দুয়েক আগে ভূমধ্যসাগরের ওপর গর্জন করেছিল ইজরায়েলের কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান। সেই মহড়ারও ছিল বিশেষ উদ্দেশ্য- ইরানের পরমাণু কেন্দ্র।
শেষমেশ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের ৩ পরমাণু কেন্দ্রে জোরদার হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ইরানের, এসফাহান, ফরডো, নাতানজের পরমাণু কেন্দ্রে বিধ্বংসী হানা চালিয়েছে মার্কিন সেনার বিমান। এদিকে, ঘটনার পরই ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ হুসেন শারিয়াতমাদরি পাল্টা তোপ দেগেছেন আমেরিকাকে লক্ষ্য করে। কিন্তু সত্যিই কি পরমাণু বোমা বানিয়ে ফেলেছে ইরান? বা তৈরির একদম দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে তারা? আসুন জেনে নিই সেই তথ্যই।
advertisement
advertisement
এর মাধ্যমে সেই সময় আমেরিকাকে ছাড়াই যে ইজরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে সেটিও পরোক্ষভাবে ওয়াশিংটনকে বোঝাতে চেয়েছিল তারা। তেল আবিব একার সক্ষমতায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ধংসের পরিকল্পনা আঁটছে বছরের পর বছর ধরে। এবার সেই হামলা ইজরায়েল চালানোর পর এবার আমেরিকা সরাসরি আসরে নেমে পড়ল।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
ইরানে আমেরিকা, ইজরায়েলের হামলা মানে মুখ থুবড়ে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে নিরাপত্তা। ইজরায়েলের হামলার পর বসে নেই তেহরানও। আর রবিবার আমেরিকা হামলা চালাতেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের দিকে ঝাঁকে-ঝাঁকে মিসাইল হানা করেছে ইরান। চারদিক থেকে প্রতিরোধের অক্ষকে পুরোদমে কাজে লাগাতে চাইছে তেহরানও।
advertisement
advertisement
ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে এবং ইরানের সেমনান শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে সংঘটিত হয় বলে ইউএসজিএস জানায়। তবে ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.২ বলে জানিয়েছে। ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের কোম প্রদেশে অবস্থিত ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ভূমিকম্প আঘাত হানে। আর এই ফোর্দোতেই রয়েছেন ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রে। রবিবার সেখানেই হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। যদিও তাতে কোনও রকম বিকিরণ হয়নি বলেই জানিয়েছে ইরান।
advertisement
advertisement
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি আগেই বলেছিলেন, ''প্রয়োজন হলে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করব। ইসলামের দৃষ্টিতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি এবং ব্যবহার জায়েজ নয়। কিন্তু মুসলিম এবং ইরানি জনগণের সাহায্যে প্রয়োজনে সেই উদ্যোগও আমরা নেব। ইরানের সুপরিচিত নাতাঞ্জ এবং ফোর্দো পরমাণু কেন্দ্র। যেগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হয় অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে।''
advertisement
এক প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল, বর্তমানে ইরানের হাতে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, তা দিয়ে কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত তিনটি পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে তেহরান। এই হাতিয়ার তৈরি করতে হলে ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া জানতে হয়। যার অনেকটাই নাকি আয়ত্ত করে ফেলেছেন পারস্য উপসারের তীরের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা।
advertisement
যদিও ইরানের পরমাণু কর্মসূচির নাগাল পায়নি মোসাদও। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরমাণু স্থাপনা। এমনকি ইজরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারেও গবেষণা চালায় তেহরান। ফলে আকাশপথে বোমা হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে সেগুলো ধ্বংস করা ইজরায়েলের পক্ষে কঠিন ছিল। এবার আমেরিকা সেই স্থাপনাতেই হামলা চালাল। কিন্তু তাতেও ইরান দমে যাবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।