Iran Israel War: ইরানের সবচেয়ে 'বড়' ক্ষতি করে দিল ইজরায়েল! একটি 'গুরুত্বপূর্ণ' বাড়ি ধ্বংস, কে ছিল জানেন ওই বাড়িতে? আমেরিকার রণতরীই বা কোথায় যাচ্ছে! এবার কি বড় কিছু?

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ চার শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল। সোমবার ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

আইডিএফ বলেছে, যুদ্ধবিমান থেকে চালানো ওই হামলায় তেহরানের একটি ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। সেখানে একাধিক ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা বৈঠকে বসেছিলেন। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি, গোয়েন্দা কর্মকর্তা হাসান মোহাকিক, কুদস ফোর্সের গোয়েন্দা প্রধান ও আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এর আগে, রবিবার ইরানের সরকার কাজেমি, মোহাকিক ও অপর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। আইডিএফ বলেছে, ‘‘এই শীর্ষ কর্মকর্তারা ইরানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং ইসরায়েল, পশ্চিমা দেশসমূহ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।’’

এদিকে, ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে চলমান ব্যাপক সংঘাতের মধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে নির্ধারিত গন্তব্য বাতিল করে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে যুদ্ধজাহাজ বহনকারী রণতরী ইউএসএস নিমৎজ। আন্তর্জাতিক জাহাজ ট্র্যাকিং সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

ইরানের ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করার দাবি করেছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইজরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এসব লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে। যা ইরানের মোট ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা এফি ডেফরিনের বরাত দিয়ে সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেফরিন বলেছেন, কেবল রবিবার রাতেই ইজরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করা না হলে ইজরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই এসব লঞ্চার ব্যবহার করা হত।

তিনি বলেন, ইজরায়েল প্রায় ৫০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইরানের মধ্যাঞ্চলের ইসফাহান শহরের অন্তত ১০০টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে। এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ কারখানা, লঞ্চার এবং কমান্ড সেন্টার রয়েছে।