Dhaka Airport: ঢাকার এয়ারপোর্টে কেন লাগল বিধ্বংসী আগুন জানেন! কী ছিল বিমানবন্দরের ভিতরে? সামনে যা বেরিয়ে এল, শুনে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Dhaka Airport: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা আর পুরোপুরি নির্বাপণ করতে লাগে সাড়ে ২৬ ঘণ্টা।
advertisement
বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, প্রথমত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য বস্তুর (কম্বাস্টিবল ম্যাটেরিয়াল) আধিক্য, দ্বিতীয়ত স্টিল স্ট্রাকচারের তাপ শোষণ, তৃতীয়ত অপরিষ্কার ও গাদাগাদি পরিবেশ, চতুর্থত অগ্নিনিরাপত্তা-ব্যবস্থার ঘাটতি এবং সর্বশেষ ছোট ছোট স্টিলের স্ট্রাকচার কেটে ভেতরে প্রবেশ করায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।
advertisement
advertisement
advertisement
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কার্গো ভিলেজের কাস্টম হাউসের অংশ ও এর সামনের অংশগুলোতে অনেক উচ্চমাত্রার দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল, যার লোড ছিল অনেক বেশি। এই অতিরিক্ত দাহ্যের কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। স্টিলের স্ট্রাকচারের ইস্যুটা অনেক বেশি। এই স্ট্রাকচার তাপ অনেক শোষণ ও নির্গত করে। এই উচ্চ তাপমাত্রার কারণেও আগুন পুরোপুরি নেভাতে বিলম্ব হয়। কার্গো কমপ্লেক্সের ভেতরের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত গাদাগাদি ও সরু।
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া ভেতরে ছোট ছোট কম্পার্টমেন্ট বা ঘরের মতো করে ভাগ করা ছিল। ফলে ফায়ার ফাইটারদের পক্ষে ভেতরে প্রবেশ করা ও আগুন নেভানোর কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কনফাইনড স্পেস (বদ্ধ জায়গা) ও অনেক দাহ্য পদার্থ—এসব কিছু মিলিয়ে আমাদের এটাকে বিভিন্ন ফায়ার হুক দিয়ে উল্টে-পাল্টে তারপর আস্তে আস্তে নির্বাপণ করতে হয়েছে। সময় বেশি লেগেছে এ জন্য।’
advertisement
অভিযোগ উঠেছে, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিনিরাপত্তা-ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল। অ্যাকটিভ (যেমন ফায়ার অ্যালার্ম, ডিটেকশন সিস্টেম) অথবা প্যাসিভ (যেমন স্বয়ংক্রিয় প্রটেকশন সিস্টেম বা স্প্রিংকলার)—কোনো ধরনের ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেমই সেখানে ছিল না। এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের কোনও বিষয় আমরা এখানে পাইনি; যে কারণে আমাদেরও বেগ পেতে হয়েছে।’