প্রবল অশান্তির মাঝেই সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় এল ওসমান হাদির মরদেহ! ছাত্রনেতার মৃত্যুতে আগামিকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ইউনুস সরকারের
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
বৃহস্পতিবার হাসিনা বিরোধী ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। গোটা দেশজুড়েই একপ্রকার নৈরাজ্য গ্রাস করেছে। আর সেই ছাত্র নেতার মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনা হল।
advertisement
advertisement
advertisement
ইমদাদুল হক মিলন বাংলাদেশের শলুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিবিদ ওসমান হাদি। তিনি ছিলেন জুলাই বিপ্লবের মুখ। শেখ হাসিনা পতনের অন্যতম ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। পুরোপুরি ভারত বিরোধী। তাঁর মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের আসন রীতিমত টলমল।
advertisement
উত্তাল গোটা দেশ। কিন্তু কে এই ওসমান হাদি? যাকে নিয়ে তুমুল উন্মাদনা বাংলাদেশিদের মধ্যে। আর কেনই তিনি এতটা জনপ্রিয় তাঁর স্বল্প রাজনৈতিক জীবনে? ওসমান হাদির জন্ম বরিশালে। তাঁর বাবা মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁরা ৬ ভাইবোন। ওসমান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। মাদ্রাসা শিক্ষা শেষে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এ পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।
advertisement
২০২৪ সাল, কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সরব ছাত্র-যুব। কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে আচমকাই জড়িয়ে পড়েন ওসমান হাদি।তারপর থেকেই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। মূলত হাসিনা বিরোধী হিসেবেই পরিচিতি পেতে শুরু করেন। তাঁর ভারত বিরোধিতা তাঁকে বাংলাদেশে রীতিমতো জনপ্রিয় করে দিয়েছিল।
advertisement
গত এক বছরে ইনকিলাব মঞ্চ একটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এই দল শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করতে মরিয়া। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের মে মাসে হাসিনার আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে জানায়।
advertisement
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হাদির সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের পালাবদলের পরও তিনি বিরোধিতার সুর তেমন নরম করেননি। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ-সহ একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁর বক্তব্যের ভাষা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করত। কিন্তু সেসব পরোয়া করেননি হাদি।
advertisement
তিনি মৃত্যুর আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছেন আওয়ামি লিগ তাঁর দিকে সর্বদা নজর রাখছে। তিনি আরও বলেছেন, দেশি বিদেশি ৩০টি মোবাইল নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করে আর মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হত। তিনি অজ্ঞাত পরিচয় বাইক আরোহীদের গুলিতে নিহত হন। তবে তাঁর দল বাংলাদগেশের নির্বাচনে ঢাকার ৮টি আসনে লড়াই করবে।







