Sheikh Hasina Paid Padma Setu Toll Fee: প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু পেরোলেন শেখ হাসিনা! কত টাকার টোল দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী?
- Published by:Madhurima Dutta
- news18 bangla
Last Updated:
Padma Bridge Toll: রবিবার ভোর থেকে টোল দিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচল শুরু করবে সেতুর উপর। এই সেতু হেঁটে পার হওয়া যাবে না।
শনিবার, ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর উদ্বোধন করে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হলেন শেখ হাসিনা। কত টাকার টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পেরোতে হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, তার একটি রসিদের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহাম্মদ শাহরিয়ার আলম টোল রিসিপ্টের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন যাতে দেখা যাচ্ছে, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে দু’হাজার টাকা টোল ফি দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
advertisement
মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের পর মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। টোল প্লাজায় নিজেই টোল ফি প্রদান করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের বরিষ্ঠ নেতা ও আধিকারিকরাও।
advertisement
advertisement
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন দফতর জানিয়েছে, পদ্মা সেতু পার হওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, গাড়ি বা জিপের ক্ষেত্রে ৭৫০ টাকা, পিক-আপ ভ্যানের ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা, মাইক্রোবাসের ১৩০০ টাকা, মিনিবাসের ১৪০০ টাকা, মাঝারি মাপের বাসের দু’হাজার টাকা, বড় বাসের জন্য ২৪০০ টাকা টোল লাগবে। এছাড়াও পাঁচ টন পর্যন্ত ট্রাকের ১৬০০ টাকা এবং পাঁচ থেকে আট টনের ক্ষেত্রে ২১০০ টাকা, আট থেকে এগারো টন ট্রাকের জন্য ২৮০০ টাকা টোল লাগবে। চার এক্সেল ট্রলারের ছয় হাজার টাকা এবং এর বেশি মাপের ট্রলারের ক্ষেত্রে প্রতি এক্সেলে ১৫০০ টাকা করে টোল লাগবে।
advertisement
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন জানান, পদ্মা সেতু কেবল সেতু নয়। এর ৪২টি স্তম্ভ “স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি”। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু নির্মাণে সাহস জোগানো বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা পাবে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি পরিকাঠামো নয়। এই সেতু আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা, আর মর্যাদার প্রতীক। এই সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ।”
advertisement
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা আবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, “জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।” তিনি বলেন, “আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা আমাদের মাথা নোয়াতে শিখান নাই।” খালেদা জিয়াকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া বলেছিলেন পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারব না। খালেদা জিয়া আসুন, দেখে যান পদ্মা সেতু হয়েছে।”