ভিক্ষুকের বেশে মন্দিরে সুপারস্টার, ‘ভিক্ষা’ হিসেবে জুটে গিয়েছিল ১০ টাকাও; তারপর….
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
When This Superstar Become A beggar: ভক্তরা রীতিমতো রজনীকান্তের আরাধনা করেন। এহেন সুপারস্টার কিন্তু সরল জীবনযাপন করতেই অভ্যস্ত।
advertisement
ভক্তরা রীতিমতো রজনীকান্তের আরাধনা করেন। এহেন সুপারস্টার কিন্তু সরল জীবনযাপন করতেই অভ্যস্ত। একবার সাধারণ বেশেই তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন মন্দিরে। কিন্তু সেখানে তাঁকে দেখে চিনতেও পারেননি দর্শনার্থীরা। উল্টে অভিনেতাকে ভিক্ষুক বলে ঠাহর করেন তাঁরা। এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে রজনীকান্তের আত্মজীবনী ‘দ্য নেম ইজ রজনীকান্ত’-এ। সেই গল্পটাই জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
২০০৭ সালের ঘটনা। ওই বছরই মুক্তি পেয়েছিল ‘শিবাজি: দ্য বস’। সারা বিশ্বে এই ছবিটি আলোড়ন ফেলেছিল। সেই সময়ই এক মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল সুপারস্টারের। কিন্তু সকলেই তাঁকে সাবধান করেছিলেন। কারণ তাঁদের আশঙ্কা ছিল, মন্দিরে গেলে রজনীকান্তকে ঘিরে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যেতে পারে। এমনকী পদপিষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
advertisement
advertisement
এভাবে সাধারণ এক বৃদ্ধের ভেক ধরে অভিনেতা ঢুকে পড়েছিলেন মন্দির চত্বরে। এমনকী, কেউ তাঁর দিকে ফিরেও তাকাননি। তবে বৃদ্ধরূপী অভিনেতাকে দেখে দয়া হয়েছিল এক গুজরাতি মহিলার। তাই তিনি রজনীকান্তের হাতে ১০ টাকার একটি নোট দিয়েছিলেন। অভিনেতার আত্মজীবনীতে বলা হয়েছে যে, লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করেন রজনীকান্ত। অথচ ভিক্ষার ১০ টাকা পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও স্বাভাবিক ভাবেই মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি।
advertisement
তবে পরে অবশ্য ওই গুজরাতি মহিলার ভুল ভাঙে। যাঁকে ভিক্ষুক ভেবে টাকা দিয়েছিলেন, সেই মানুষটাইকেই মন্দিরের দানবাক্সে ১০০ টাকা রাখতে দেখে ফেলেন তিনি। এমনকী, পুজো দেওয়ার পরে বিলাসবহুল গাড়িতে চাপতে দেখেন। তবে মন্দিরের একেবারে বাইরে চলে যাওয়ার আগেই অভিনেতাকে আটকে ক্ষমা চান ওই মহিলা। ওই ভিক্ষার ১০ টাকা ফিরিয়ে নিতেও উদ্যত হন। তখন হেসে সুপারস্টার বলেন, “উনি সব সময় মনে করিয়ে দেন যে, আমি তাঁর সামনে একজন তুচ্ছ ভিক্ষুক ছাড়া আর কিছুই নই।” এরপরে ওই ভিক্ষা-র ১০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে যান রজনীকান্ত। এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, অভিনেতা আসলে সত্যিকারের সুপারস্টার! আর মানবিকতার কথা উঠলে তাঁর জুড়ি মেলা সত্যিই ভার!